মানিকগঞ্জে প্রতিপক্ষের হামলায় আ. লীগ নেতাসহ আহত ৮

Looks like you've blocked notifications!
হামলায় আহতরা ঘিওর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। ছবি : এনটিভি

মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বড় কুষ্টিয়া গ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় আওয়ামী লীগ নেতাসহ অন্তত আটজন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে চারজন ঘিওর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে এবং একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এঁরা হলেন- ওই গ্রামের মৃত ওহেদ আলী মণ্ডলের ছেলে পয়লা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবদুল কুদ্দুস মণ্ডল (৫০), মহিদুর রহমান মণ্ডলের মেয়ে শিরীন বেগম (২৮), ছেলে শরিফ মণ্ডল (২৫), মৃত জশর উদ্দিন মণ্ডলের ছেলে হাবিবুর রহমান মণ্ডল (৬৫) ও তাঁর ছেলে রেজাউল করিম মণ্ডল (৩৫)।

আহতরা জানান, গত ২৭ রোজায় বড় কুষ্টিয়া গ্রামের মসজিদে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে গ্রামবাসী। এতে গ্রামের ২৬০টি পরিবারের কাছ থেকে চাঁদা তোলা হয়। চাঁদা তোলা ও খরচের দায়িত্বে ছিলেন জহির উদ্দিন। ১০ হাজার টাকারও বেশি তোলা হলেও ইফতার মাহফিলে প্রায় চার হাজার টাকার মতো খরচ করা হয়।
 
পরের দিন বিকেলে জহিরের কাছে বাকি টাকার হিসেব চান মহিদুরের ছেলে শরীফ মণ্ডল। এতে জহির ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলে দুজনের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
 
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শরীফকে না পেয়ে জহির ও তাঁর লোকজন ঈদের পরের দিন রাত (গত রবিবার) ৮টার দিকে স্থানীয় বড় কুষ্টিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে মহিদুরকে ডেকে নিয়ে মারধর করেন। আহত অবস্থায় ওই দিন রাতেই তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় আহতের ছেলে শরীফ ঘিওর থানায় অভিযোগ করেন।

শরীফ মণ্ডল জানান, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আজ  বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে তদন্ত করতে আসে। ঘণ্টাখানেক পর পুলিশ তদন্ত শেষে চলে যায়। এরপর ১২টার দিকে জহিরের নেতৃত্বে স্থানীয় রাজু, সোহাগ, বাবু, রনি, রুবেল ও শাহীনসহ ১৫-২০ জন ধারালো অস্ত্র ও লাঠি হাতে বাড়ির পাশের মাঠে এসে তাদের (শরীফ) ওপর হামলা করেন।
 
হামলায় অন্তত আটজন আহত হন। আহতদের মধ্যে কুদ্দুস, শিরীন, শরীফ, রেজাউল ও হাবিবুরকে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করেন স্বজনরা। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কুদ্দসকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন বলেও জানান শরীফ।

ঘিওর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইসতিয়াক আহমেদ জানান, আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় কুদ্দুসকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। অন্যদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত আলম জানান, হামলার ঘটনার খবর পেয়ে  পুলিশ  সেখা‌নে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আর জহিরকেও আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

ওসি আরো জানান, এলাকায় জহির খুব প্রভাবশালী। এর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করায় এবং আজকে পুলিশ তদন্তে যাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে জহিরসহ তাঁর লোকজন প্রতিপক্ষের ওপর হামলা চালান। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।