খাগড়াছড়িতে অবরোধের সময় হামলা, আহত ১০

Looks like you've blocked notifications!
খাগড়াছড়ি শহরে অবরোধকারীদের হামলায় আহত হয়ে পড়ে আছেন পানছড়ির উল্টাছড়ি ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা আমজাদ হোসেন। ছবি : এনটিভি

খাগড়াছড়ি শহরে আজ মঙ্গলবার সড়ক অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে অবরোধকারীদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়েছে। এ সময় পাল্টাপাল্টি হামলায় উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে সাতজনকে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জেলা পরিষদের শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধের দাবিতে সুষম উন্নয়ন ও দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি অবরোধ ডেকেছিল। দুপুরে কমিটির নেতাদের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের বৈঠকের পর অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়।

বাস টার্মিনাল এলাকায় এবং সকাল ১০টার দিকে চেঙ্গী স্কোয়ার এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।

পানছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জয়নাথ দেব ও পানছড়ি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন জানান, দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার জন্য খাগড়াছড়ি আসার পথে সকাল ১০টার দিকে চেঙ্গী স্কয়ার এলাকায় পৌঁছালে অবরোধকারীরা গাড়ির গতি রোধ করে। এ সময় খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম ও তাঁর ছোট ভাই দিদারুল আলমের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী রড, লাঠিসোটা ও ইটপাটকেল নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় পানছড়ির উল্টাছড়ি ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা আমজাদ হোসেন, যুবলীগ কর্মী দীন ইসলাম, মোল্লাপাড়ার এলাকার মুক্তিযোদ্ধা আলী আকবর, ছাত্রলীগকর্মী আলাল, জহির, নাঈম ও আবু সিদ্দিক আহত হন। এর মধ্যে ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা আমজাদ হোসেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

মহালছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা রতন শীল জানান, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাস টার্মিনাল এলাকায় অবরোধকারীদের হামলার শিকার হয়ে নেতাকর্মীরা শহরে প্রবেশ না করে মহালছড়ি ফিরে গেছেন।

সুষম উন্নয়ন ও দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য-সচিব খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র মো. রফিকুল আলম হামলা সম্পর্কে কোনো মন্তব্য না করে জানান, কেউ চ্যালেঞ্জ করে কর্মসূচি ভণ্ডুল করতে চাইলে প্রতিরোধের মুখে পড়তেই পারে।

মেয়রের ছোট ভাই দিদারুল আলম জানান, যুবলীগ-ছাত্রলীগের হামলায় তাদের তিন পিকেটার আহত হয়েছে।

এদিকে হামলার ঘটনার প্রতিবাদে দুপুরে জেলা যুবলীগ ও ছাত্রলীগের উদ্যোগে শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। দুপুরে কদমতলী এলাকা থেকে জেলা যুবলীগের সহসভাপতি মেহেদী হাসান হেলাল ও জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি টেকো চাকমার নেতৃত্বে বের হওয়া বিক্ষোভ মিছিলটি কোর্ট বিল্ডিং, ভাঙা ব্রিজ হয়ে শাপলা চত্বরের দিকে যেতে চাইলে মাস্টারপাড়া এলাকায় পুলিশ ব্যারিকেড দেয়। পরে সেখান থেকে ফিরে গিয়ে প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে মিছিল শেষ হয়। তারা পৌর মেয়রসহ হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানায়।

অপরদিকে অবরোধ চলাকালে দায়িত্বে নিয়োজিত সাংবাদিককে বাধাদান, ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়া ও লাঞ্ছিত করার ঘটনায় পেশাজীবী সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে নিন্দা জানানো হয়েছে। দুপুরে খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় খাগড়াছড়ি সাংবাদিক ইউনিয়নসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সাংবাদিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়।