সাংবাদিক চাকরিচ্যুত, দুই শিশুর বাবা ‘উধাও’
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় গাছের সঙ্গে রশি ও শেকল দিয়ে বেঁধে দুই শিশুকে ‘নির্যাতনের ছবি বানানোর’ ঘটনার ‘রহস্য উদঘাটনের’ পর থেকেই ওই দুই শিশুর বাবাকে খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ। এ ছাড়া এ ছবি প্রকাশ করে ‘সাংবাদিকতার নীতিমালা পরিপন্থী’ কাজে যুক্ত থাকায় স্থানীয় একটি সংবাদপত্রের কাশিমারী প্রতিনিধিকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
এদিকে দুই শিশুকে মারধরের ঘটনায় করা মামলার দুই নম্বর আসামি গোলাম হোসেনকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। হোসেন এ মামলার প্রধান আসামি কারাগারে আটক গোলাম মোস্তফার ছেলে।
শিশু নির্যাতনের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শ্যামনগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুস সাত্তার আজ শনিবার বিকেলে এনটিভি অনলাইনকে বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্ণিত করা গেছে। অচিরেই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। তবে তাঁদের নাম প্রকাশ করতে চাননি এসআই। তিনি আরো জানান, এ ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত দুই শিশুর বাবা ইসমাইল ও হামিদ তরফদারকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, দুই কোমলমতি শিশুকে ব্যবহার করে ‘সাজানো ছবি’ বানিয়ে সংবাদপত্রে পরিবেশনের সঙ্গে সম্পৃক্ত সন্দেহে কাশিমারী ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের রবিউল ইসলাম নামের এক যুবককে খোঁজা হচ্ছে। শিশুদের দেওয়া বর্ণনা অনুযায়ী, রবিউলকে চিহ্ণিত করা হয়েছে। রবিউল স্থানীয় সংবাদপত্র ‘পত্রদূত’ পত্রিকার কাশিমারী ইউনিয়ন প্রতিনিধি ছিলেন।
এ ছাড়া ‘ছবি বানানোর’ কাজে সহযোগিতার জন্য একটি শিশুর চাচা ইলিয়াস তরফদারকেও পুলিশ খুঁজছে।
এদিকে ‘পত্রদূত’ পত্রিকা কর্তৃপক্ষ কাশিমারী প্রতিনিধি রবিউল ইসলামকে ‘সাংবাদিকতার নীতিমালাবিরোধী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে সব দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছে। এ-সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি সংবাদপত্রের প্রথম পৃষ্ঠায় ছাপা হয়।
পত্রদূতের একটি সূত্র এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছে, ‘ছবি বানানোর’ ঘটনার কারণেই তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
তবে কাশিমারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান গাজী আনিসুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, গোবিন্দপুর গ্রামের জামাত আলীর ছেলে রবিউল ইসলাম এলাকায় একজন সৎ ও দায়িত্বশীল ছেলে হিসেবে পরিচিত। শ্যামনগর সরকারি কলেজের সম্মান শ্রেণির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রবিউল কারো দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এমন কাজ করতে পারে বলে ইউপি চেয়ারম্যানের ধারণা।