চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন আটক

Looks like you've blocked notifications!

ময়মনসিংহের গৌরীপুরে চোর সন্দেহে পিটিয়ে কিশোর হত্যার ঘটনায় সন্দেহজনক একজনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে মামলার মূল আসামিরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। ঘটনার পর থেকেই এর সঙ্গে জড়িতরা পলাতক।

গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার আহাম্মদ বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে রিয়াজ উদ্দিন নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ বিকেলে রিয়াজ উদ্দিনকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

নিহত কিশোর সাগরের (১৬) বাবা শিপন মিয়ার দাবি হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও ছেলে হত্যার ন্যায়বিচার। পুলিশ বলেছে, তদন্ত অব্যাহত আছে, আসামিরা গ্রেপ্তার হবে।

ময়মনসিংহ রেল বস্তিতে বসবাসকারী ভাঙাড়ি ব্যবসায়ী কিশোর সাগর (১৬) দরিদ্র পরিবারের সন্তান। একেকদিন একেক জায়গা থেকে ভাঙাড়ি দ্রব্য সংগ্রহ ও ক্রয় করত সে। প্রতিদিনের মতো সোমবার ভোরেও ভাঙাড়ি লোহা-লক্কর খুঁজতে বের হয় সাগর। একপর্যায়ে গৌরীপুরের চরশিরামপুর গ্রামে পৌঁছে। আর সেটাই কাল হয় তার জীবনে।

সেদিন ভোরে চোর সন্দেহে আটক করে গৌরীপুরের চরশিরামপুরের মাছ ব্যবসায়ী আক্কাস আলী। পরে মাছের খামারের খুঁটির সঙ্গে হাত-পা বেঁধে লাঠিসোটা ও গাছের ডাল দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে আক্কাস ও তার ভাইয়েরা। এতে সাগর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। লোক দেখানোর জন্য সাগরকে চিকিৎসার নাম করে অটোতে করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে রাতের বেলা লাশ আক্কাস আলীর মাছের খামারের পাশের ছনক্ষেতে গুম করে রাখা হয়।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল মঙ্গলবার সকালে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ওই ছনক্ষেত থেকে।

সাগরের বাবা শিপন মিয়া ও মা হাসি বেগমের অভিযোগ, তাঁদের ছেলে চোর নয়, ভাঙাড়ি ব্যবসায়ী। তাকে সন্দেহজনকভাবে ধরে মেরে ফেলা হয়েছে। তাঁরা ছেলে হত্যার বিচার চান।

ওসি দেলোয়ার আহাম্মদ আরো জানান, অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে, তদন্তও অব্যাহত আছে।

এই ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে সাগরের বাবা শিপন মিয়া বাদী হয়ে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরে পাঁচজনকে আসামি করে গৌরীপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। ওসি জানান, মামলায় আসামি করা হয়েছে আক্কাস আলী, তার ভাই হাসু, সাত্তার, জুয়েল, সোহেল ও কাইয়ুমকে।