রামায়ণের গল্পকথা মূর্ত ফরিদপুরের দুর্গোৎসবে

Looks like you've blocked notifications!
ফরিদপুরের ধোপাডাঙ্গা এলাকার সিআইপি যশোদা জীবন দেবনাথের বাড়িতে বৃহৎ পরিসরে প্রায় আড়াইশ প্রতিমা নিয়ে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ছবি : এনটিভি

পৌরাণিক কাহিনী রামায়ণের গল্পকথা যেন মূর্ত হয়ে উঠেছে ফরিদপুরের ধোপাডাঙ্গার যশোদা জীবন দেবনাথের বাড়ির দুর্গোৎসবে। এখানে দেবী দুর্গার প্রতিমা ছাড়াও স্থান পেয়েছে প্রায় আড়াইশ প্রতিমা।

মৃৎশিল্পীরা চার মাস ধরে রাত-দিন পরিশ্রম করে ৫২ খণ্ডের পৌরাণিক কাহিনীকে যেন বাস্তবে নামিয়ে এনেছেন। মন্দিরের আশপাশের অন্তত দুই একর জায়গাজুড়ে এই মূর্তিগুলো রাখা হয়েছে। এ ছাড়া প্রায় এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে আলোকসজ্জ্বারও ব্যবস্থা করা হয়েছে।

গতকাল বুধবার মহাষষ্টী পূজার মধ্যে দিয়ে সারা দেশে শুরু হয়েছে শারদীয় দুর্গোৎসব। ব্যতিক্রমী এই পূজার আয়োজন দেখতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসছেন দর্শনার্থীরা।

প্রতিমাশিল্পী খলিলপুরের সুজয় কুমার পাল জানান, চার মাস ধরে ৫২ খণ্ডের পৌরাণিক কাহিনীতে রাবণের কাহিনীসহ মূল কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে। এবছর বন্যা হওয়ায় মাটি সংগ্রহ করতে বেগ পেতে হলেও যথাসময়ে সম্পন্ন করা হয়েছে প্রতিমা তৈরি ও সাজসজ্জ্বার কাজ।

পূজার প্রধান আয়োজক যশোদা জীবন দেবনাথ জানান,দেবী দুর্গা,কার্তিক, গণেশসহ প্রায় আড়াইশ প্রতিমা স্থাপনের মাধ্যমে দেশের অন্যতম বড় পরিসরে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে।

যশোদা জীবন দেবনাথ বলেন, ‘আমরা আশা করছি এই পূজা দেখতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দর্শনার্থীরা আসবে। এরই মধ্যে দর্শনার্থীরা আসা শুরু করেছে। সব কিছু মিলিয়ে এবার আমাদের এই পূজার আয়োজনে কোনো কিছুই অপূর্ণ রাখা হয়নি রামায়ণের গল্প কথায়।’

দর্শনার্থীরা বলছেন, দেশে এমন বৃহৎ পরিসরের পূজা খুব একটা হয় না। তাঁদের আশা সিআইপি যশোদা জীবন দেবনাথ প্রতিবছর এ ধরনের আয়োজন করবেন।

এবার ফরিদপুরের নয় উপজেলার ৭৩৭টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মণ্ডপগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।