রোহিঙ্গাদের জন্য কাঁদলেন মির্জা ফখরুল

Looks like you've blocked notifications!
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আজ শুক্রবার জিসাসের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন। ছবি : এনটিভি

নির্যাতনের মুখে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গা মা ও শিশুদের দুরবস্থার কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেললেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতা বন্ধ করতে বিশ্ব সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

বিএনপি মহাসচিব একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রাশিয়া, চীন ও ভারত সফর করে রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে কূটনৈতিক তৎপরতা চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

জিসাসের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ শুক্রবার রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল এসব আহ্বান জানান।

সংগঠনের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠানে বিভিন্ন পেশার গুণীজনদের জিয়া পদক ২০১৭ প্রদান করে জিসাস।

এর আগে আলোচনায় অংশ নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ছোট্ট পাঁচ মাসের শিশু, ১০ দিনের শিশুকে বুকের মধ্যে নিয়ে একটা প্লাস্টিক দিয়ে তাকে ঢেকে রেখেছে, তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে। এই নৃশংসতা, বিশ্ববিবেকের কাছে আবেদন জানাই যে আপনারা এগিয়ে আসুন। মিয়ানমারকে বাধ্য করুন, তাদেরকে গণহত্যা বন্ধ করতে এবং এই নাগরিকদের তাদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বন্ধুগণ, আমি দুঃখিত যে মাঝে মাঝে আবেগ-আপ্লুত হয়ে পড়ি। হয়তো এ জন্যই যে পুরোপুরি রাজনীতিবিদ হয়ে উঠতে পারিনি। প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীরও এখন চীন, রাশিয়া এবং ভারতে যাওয়া উচিত। এবং তাদেরকে কনভিন্স করা উচিত যে এটা আমাদের জন্য এখন বড়, বিশাল সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানবিক সমস্যা হয়েছে। একটা জাতিকে সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিহ্ন করবার জন্য মিয়ানমার সরকার কাজ করছে। আমরা চুপ করে বসে আছি। এমনকি একটা শক্ত কথাও বলি না। এখন পর্যন্ত গণহত্যার জন্য মিয়ানমার সরকারকে এই সরকার দায়ী করেনি।’

দেশে গণতন্ত্র নেই আর প্রতিনিয়ত হত্যা ও গুম করা হচ্ছে নিরীহ মানুষদের- এমন অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যে দলটি নির্বাচন ছাড়াই জোর করে ক্ষমতা ছাড়াই এসে গেছে তাকে তো নির্বাচনের কথা ভাবতে হবে না। কারণ সে আবারও জোর করেই ক্ষমতায় থাকার জন্য কাজ করতে হবে, অন্যথায় সে সরকার গঠন করতে পারবে না, নির্বাচনে জয়ী হতে পারবে না।’