রোহিঙ্গাদের সহায়তার আহ্বান সালমান এফ রহমানের

রোহিঙ্গাদের সহায়তায় দেশের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাতবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। আজ শনিবার সকালে উখিয়ার বালুখালীতে রোহিঙ্গাদের চিকিৎসায় বেক্সিমকো গ্রুপের উদ্যোগে চিকিৎসাশিবিরের উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, রোহিঙ্গাদের যতদিন পর্যন্ত চিকিৎসাসেবা দরকার, ততদিন পর্যন্ত এই চিকিৎসাশিবির চালু থাকবে। এ ছাড়া তিনি রোহিঙ্গাদের মধ্যে কাপড় ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন।
এ সময় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি এবং বেক্সিমকো ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নাজমুল হাসান পাপন উপস্থিত ছিলেন।
সালমান এফ রহমান বলেন, ‘আমাদের সকলেরই কিন্তু একটা নৈতিক দায়িত্ব হয়ে গেছে। সরকারের তরফ থেকে যত যাই হোক, আন্তর্জাতিকভাবে করা হচ্ছে। কিন্তু আমি মনে করি, বেসরকারি খাত থেকে সবাইকে এটা করা দরকার। আমরা বেক্সিমকো থেকে শুরু করেছি। আমি আপনাদের মাধ্যমে আমার যত বেসরকারি খাতের সহকর্মীরা আছেন, আহ্বান জানাতে চাই : এখানে নিজের চোখে আমি দেখে যাচ্ছি কী অবস্থা। কান্না চলে আসে, এদের অবস্থাটা দেখার পরে। আমি বেসরকারি খাতের সহকর্মীদের আহ্বান জানাচ্ছি, ওনারাও যদি… যেহেতু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ ওদের সাহায্য করবে। আমাদের সকলেরই দায়িত্ব যেটা, সবাই এসে এটা যেন আমরা করি।’
বেক্সিমো ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘আমরা এটাকে বেজ ধরে যখন যার যেখানে দরকার ওষুধশিল্প সমিতি যদি মনে এখানে এক্সপানশনের দরকার আছে, অবশ্যই তারা হেল্প করবে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড যদি মনে করে এখানে তাদের কিছু করার আছে, তারা অবশ্যই করবে। তবে প্রাইমারি শুরুটা করেছে বেক্সিমো ফার্মা। আমরা মনে করি, যতক্ষণ পর্যন্ত মেডিকেল ট্রিটমেন্ট ইজ কনসার্ন, এটাতে আর কারো তেমন প্রয়োজন হবে না। কিন্তু তারপরও যদি প্রয়োজন হয়, যে কারো, ওষুধশিল্প সমিতি অথবা ক্রিকেট বোর্ড আমরা সব সময় এটার সাথে আছি। এটার এক্সপানশনে চলে যাবো। এটাকে সাসটেইন করার জন্য, আরো দীর্ঘ সময় চালানোর জন্য আরো যা যা দরকার আমরা করব। প্রাথমিকভাবে আমরা এখন যে জিনিসগুলো দেখেছি, এখানে আজকে যে কত রোগী এসেছে। তাদের চিকিৎসা শুরু হয়ে গেছে। এটা করতে গেলে দু-একদিন চলার পর বুঝতে পারব কী ধরনের আরো ফ্যাসিলিটি দরকার এইখানটায়। প্রথমেই তো বোঝা যাবে না, যেমন এইখানটায় আমরা নামাজঘর যেহেতু করেছি, জামাতে নামাজ পড়ার জন্য একজন মৌলভি সাহেবকেও আমরা ঠিক করেছি। এখানে শুনেছি কোরআন শরিফ পড়ছে। আমরা দেখলাম যে, এখানে দুটো- চারটা কোরআন দেওয়া হয়েছে। আমরা এখনই সিদ্ধান্ত নিলাম সালমান সাহেবের সঙ্গে কথা বলে আমরা পর্যাপ্ত পরিমাণে কোরআন শরিফের ব্যবস্থা করব। যদি দেখি এটাকে আরো বড় করা দরকার, বড় করব। তো এই হলো বেসিক উদ্দেশ্য।’
বিসিবি সভাপতি পাপন আরো বলেন, ‘প্রথম কথা হচ্ছে, আগে দেখে যাওয়া কী অবস্থা। সিস্টেমেটিক ওয়েতে এটা হচ্ছে কি না এটা দেখা। আমাদের জানা মতে আমরা সবচেয়ে প্রফেশনালি, মানে যতটুকু প্রফেশনালি রান করা, ম্যানেজ করা যায় এই ক্যাম্প এবং এই নামাজঘর সেটা আমরা করব। এখানে একটা জিনিস লক্ষণীয়, বাচ্চা রোগী যখন আসছে ডাক্তার দেখাচ্ছে তাকে কিন্তু আমরা কিছু না কিছু দিয়ে দেব। হয় একটা জুস মিনিমাম, বিস্কিট, চকলেট এগুলো আমরা বাচ্চাদের এখান থেকে পরিবেশন করব। এ ছাড়া বেক্সিমকো টেক্সটাইলস থেকে প্রচুর কাপড় পাঠানো হয়েছে, বাচ্চাদের কাপড়।’
গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইনে সেনা অভিযানের পর থেকে বাংলাদেশে প্রায় পাঁচ লাখ রোহিঙ্গা প্রবেশ করেছে।