শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রদের উসকে দিয়ে বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ

Looks like you've blocked notifications!
পটুয়াখালী সদর উপজেলায় ছেলের বিরুদ্ধে এক মেয়েকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে এনে স্কুলের শিক্ষার্থীদের উসকে দিয়ে আবুল বাশার নামের একব্যক্তির বাড়িঘর ভাঙচুর করানো হয়। ছবি : এনটিভি

পটুয়াখালী সদর উপজেলায় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থীদের সন্ত্রাসী ও হামলার কাজে ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

ছাত্রদের দিয়ে বাড়ি ভাঙচুর করে গুঁড়িয়ে দিয়ে মালামাল লুটপাট করার ঘটনায় জেলা দ্রুত বিচার ট্রাইবুনাল আদালতে অভিযোগ করার পর সদর থানাকে মামলা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এদিকে, শিশু শিক্ষার্থীদের দিয়ে এমন কাজ করানো ক্ষুব্ধ হয়েছেন অভিভাবকরা।

মামলা সূত্রে জানা গেছে,পটুয়াখালী সদর উপজেলার ছোট বিঘাই মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও আওয়ামী লীগ নেতা আসাদুজ্জামান হিরন মাস্টার বিদ্যালয় সংলগ্ন এক পল্লী চিকিৎসক আবুল বাশারের স্ত্রীকে বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দেন। এতে তিনি রাজি না হওয়ায় ছাত্রীদের প্রাইভেট পড়ানোর কথা বলে তাঁর ঘর ভাড়া নেওয়ার জন্য চাপ দেন। বিষয়টি এলাকার চেয়ারম্যানকে জানালে হিরন মাস্টার ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে একই গ্রামের আট বছরের এক মেয়ের শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগ এনে ওই মেয়ের মাকে দিয়ে মামলা করান। এর পর বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উসকানি দিয়ে বাশারের স্ত্রীকে গ্রাম থেকে উচ্ছেদ করার জন্য ২০ সেপ্টেম্বর সকালে তাঁর বাড়িতে হামলা চালান হিরন মাস্টার। প্রকাশ্যে ঘরটি গুঁড়িয়ে দেয় শিক্ষার্থীরা। এর পরই বিঘাই বাজারে আবুল বশারের একটি ফার্মেসির  দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। ভয়ে এলাকা ছেড়ে থানায় গেলে মামলা নেয়নি পুলিশ।

পরে ২৪ সেপ্টেম্বর বাশারের স্ত্রী মানছুরা বাদী হয়ে পটুয়াখালী দ্রুত বিচার ট্রাইবুনাল আদালতে মামলা করেন। এরপর আদালতের নির্দেশে ২৮ সেপ্টেম্বর হিরন মাস্টারকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাত ২০ জনের নামে থানায় মামলা করা হয়। ঘটনার পর থেকে মানছুরা, তাঁর স্বামী ও তিন সন্তান পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে হিরন মাস্টার বলেন, মানছুরার ছেলেদের অপবাদ চাপা দিতে এ রকম নাটক সাজানো হয়েছে। তিনি দাবি করেন, ছাত্রদের পিটিয়ে স্কুলে ঢোকানোর পর তাঁর ঘর ভাঙচুর করেছে এলাকার বহিরাগতরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, মামলার  পর পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

তবে এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের সভাপতি গনি সিকদার এবং স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলতাফ হাওলাদার কোনো বক্তব্য দিতে চাননি।