সাংবাদিকদের অ্যাটর্নি জেনারেল

প্রধান বিচারপতিকে গৃহবন্দি করার অভিযোগ ভিত্তিহীন

Looks like you've blocked notifications!
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। ছবি : এনটিভি

অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে প্রধান বিচারপতিকে গৃহবন্দি করে রাখার বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা কথা। কেননা তারা নিজেরাই বলেছে, প্রধান বিচারপতি তাদের সঙ্গে দেখা করবেন না।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে অ্যাটর্নি জেনারেল এসব কথা বলেন।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, তারা রাজনৈতিক দিক থেকে চিন্তা করেই এসব কথা বলছে। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতিকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এর আগে তারা যুদ্ধাপরাধী ইস্যুতেও বিভিন্ন কথা বলেছে। এটা তাদের হীন প্রচেষ্টা মাত্র। তবে আমি মনে করি, প্রধান বিচারপতি কেন ছুটিতে গেছেন সে বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয় থেকেই জানানো হয়েছে। প্রধান বিচারপতি ক্যানসারে আক্রান্ত। তিনি এর আগেও চিকিৎসার জন্য ছুটিতে গিয়েছিলেন। কাজেই এটা সম্পূর্ণ তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়। এসব কথার কোনো সারবত্তা নেই।  

আপনার সঙ্গে প্রধান বিচারপতির কথা হয়েছে কি না জানতে চাইলে মাহবুবে আলম বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি দেশে ফিরে আসার পর থেকে আমার সঙ্গে দেখা হয়নি, কথাও হয়নি।’

অসুস্থ প্রধান বিচারপতিকে দেখতে যাবেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আমি চেষ্টাও করিনি। তবে তিনি দেশে থাকলে চিন্তা করব। তবে একজন বিচারপতির জন্য কখনো বিচার বিভাগ বসে থাকেনি। বিচার বিভাগ তার নিজস্ব গতিতেই চলবে।’

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব মিঞার নেত্বত্বে দুপুর থেকে ফুল কোর্ট সভা চলছে। সেখানে তিনি উভয় বিভাগের বিচারপতিদের নিয়ে বৈঠকে বসেন। এবং বিচারকাজ পরিচালনার বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করেন। এ কারণে আজ হাইকোর্টে কার্যত কোনো মামলার শুনানি হবে না। আগামীকাল বুধবার থেকেই মামলার কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে।

প্রসঙ্গত বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে নিতে করা সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায় গত ১ আগস্ট প্রকাশের পর থেকে মন্ত্রী-এমপিদের কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। জাতীয় সংসদেও তাঁর সমালোচনা করা হয়। এর মধ্যেই গত ১০ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রধান বিচারপতি দেশের বাইরে ছুটিতে ছিলেন। ২৩ সেপ্টেম্বর তিনি দেশে ফেরেন।

সোমবার দুপুরে প্রধান বিচারপতি ছুটির আবেদন করেন। দিবাগত রাতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞাকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়। তিনি আজ সকাল থেকে প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করছেন।