শেরপুরে পুলিশের নির্যাতনে বিশ্বজিতের মৃত্যু হয়নি, দাবি এসপির

Looks like you've blocked notifications!
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় যুবকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেন পুলিশ সুপার রফিকুল হাসান গনি। ছবি : এনটিভি

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় যুবকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছেন পুলিশ সুপার (এসপি) রফিকুল হাসান গনি।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন এসপি।

এ সময় ওই যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় গতকাল সোমবার সকালে স্থানীয়দের বিক্ষোভ, সহকারী পুলিশ সুপারের কার্যালয় ভাঙচুর, বিভিন্ন গণমাধ্যমে পুলিশকে দায়ী করে খবর প্রকাশের বিষয়ে কথা বলেন এসপি রফিকুল হাসান গনি।

জানা যায়, গত রোববার রাতে বিশ্বজিৎ চন্দ্র দে নামের ওই যুবককে নালিতাবাড়ী পৌরশহরের উত্তরবাজার থেকে আটক করেন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সুমন। এ সময় পুলিশ তাঁর কাছ থেকে গাঁজার পুরিয়া উদ্ধার করে। পরে রাতেই পরিবার এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সুপারিশে মুচলেকায় বিশ্বজিতকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু বাড়িতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন বিশ্বজিৎ। রাতেই নালিতাবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। বিশ্বজিৎ পেশায় কাঠমিস্ত্রি ছিলেন।

এই মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সোমবার সকালে উত্তপ্ত হয়ে পড়ে নালিতাবাড়ী উপজেলা সদর। স্থানীয় লোকজন বিশ্বজিতের মৃত্যুর জন্য পুলিশকে দায়ী করে শহরের উত্তরবাজার তিন রাস্তার মোড়ে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে। একপর্যায়ে উত্তেজিত জনতা নালিতাবাড়ী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপারের কার্যালয় ভাঙচুর করে। পরে জেলা থেকে পুলিশ কর্মকর্তারা এবং অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

পুলিশ সুপারের ভাষ্য, পুলিশের হেফাজতে যুবক বিশ্বজিতের মৃত্যুর অভিযোগ উঠলেও আসলে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

এ সময় আটকের পর বিশ্বজিতকে থানায় নেওয়া এবং ছেড়ে দেওয়ার সময়কার সিসিটিভি  ক্যামেরার ফুটেজও গণমাধ্যমকর্মীদের দেখান এসপি।

ফুটেজে বিশ্বজিতকে স্বজনদের সঙ্গে হেঁটে থানা থেকে বেরিয়ে যেতে দেখা গেছে। এ ছাড়া সংবাদ সম্মেলনে সুরতহাল ও ময়নাতদন্তের রিপোর্টও দেখানো হয় সাংবাদিকদের। সুরতহাল প্রতিবেদনে বিশ্বজিতকে মারধরের চিহ্ন দেখা যায়নি। এমনকি ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনেও শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়ার জন্য ভিসেরা পরীক্ষা করতে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে বলেও জানান এসপি।