৪৮ বছর পর দখলমুক্ত হলো চসিকের জমি

Looks like you've blocked notifications!
চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে দীর্ঘদিন অবৈধ দখলে থাকা জমি উদ্ধার করে সিটি করপোরেশন। ছবি : এনটিভি

চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ এলাকায় দীর্ঘ চার যুগ ধরে অবৈধ দখলে থাকা চার একর ভূমি উদ্ধার করা হয়েছে।

আজ রোববার সকালে আগ্রাবাদ জাম্বুরি মাঠ ও সরকারি কলোনীর আশপাশে অবৈধভাবে দখল হয়ে থাকা এসব ভূমি উদ্ধার করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এসব জায়গা দখল করে পাঁচশরও বেশি পরিবার দীর্ঘদিন ধরে বাস করে আসছিল।

সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সানজিদা শারমিন জানান, এর আগেও কয়েকবার এসব ভূমি উদ্ধার করা হয়েছিল। কিন্তু পরে আবারও দখল করে নিয়েছে বস্তির লোকজন।

সানজিদা শারমিন বলেন, ‘এখানে পাঁচশর মতো পরিবার ছিল। তাদের বুঝিয়েছি। তারা চলে গেছে। আপনারা দেখছেনই তারা তাদের জিনিসপত্রগুলো নিয়ে চলে গেছে। এখন আমরা এই জায়গাটায় উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছি। ২০০৬ সালে একবার এইটা উচ্ছেদ করা হয়েছিল সিটি করপোরেশন থেকে। তার আগেও তারা ছিল, পরেও আছে। এই যে বার বার একটা কমপ্লেন আসে যে উচ্ছেদের পর আবার আসে আপনারা কী করেন? তো সেজন্য আপনি দেখবেন আমরা পিলার দিয়ে দিচ্ছি। কাঁটাতারের বেড়া। যেটা আমাদের পক্ষে এই মুহূর্তে সম্ভব আমরা কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে দিয়েছি।’

তবে উচ্ছেদের আগে জানানো হয়নি বলে দাবি করে এসব জমিতে বসবাস করা পরিবারগুলো। সিটি করপোরেশনের জায়গায় দীর্ঘ ৩৬ বছর ধরে বসবাস করা আনোয়ারা বেগম জানান, তাঁদের না জানিয়েই উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। তাই উচ্ছেদের পর রাস্তায় থাকা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই তাঁদের।

এ বিষয়ে পুলিশের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, স্থানীয় বিভিন্ন দলের নেতারা ভাসমান এসব মানুষদের ভোটার করে নিজেদের ফায়দা হাসিল করে আসছিল। তাই দীর্ঘ চার দশক ধরে তারা এখানে অবৈধভাবে বাস করতে পেরেছে।

এই এলাকায় আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল, সরকারি স্কুল, সরকারি চর্ম রোগ হাসপাতাল, আয়কর বিভাগসহ বিভিন্ন সরকারি কার্যালয় রয়েছে। এরপরও সড়কের দুই পাশ দখল করে টিকে ছিল ভাসমান বস্তিগুলো। তবে এবার প্রশাসন শক্ত হাতে নানা প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে সফল উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে।

অভিযান চলাকালে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব), পুলিশ, আনসার সদস্যদের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন সেবা সংস্থার প্রায় দুই শতাধিক সদস্য উপস্থিত ছিলেন।