ঠ্যাঙ্গার চরে রোহিঙ্গাদের না নেওয়ার দাবি

Looks like you've blocked notifications!
সন্দ্বীপের সারিকাইত উপকূলীয় বেড়িবাঁধ এলাকায় বিভিন্ন ইউনিয়নের লোকজন মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নেয়। ছবি : এনটিভি

মেঘনা নদীর বুকে জেগে ওঠা ঠ্যাঙ্গার চরে রোহিঙ্গাদের জন্য বাসস্থান না দিতে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছে সন্দ্বীপের সর্বস্তরের মানুষ। একই সঙ্গে জেগে ওঠা চরটি নোয়াখালী জেলার সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত না করারও দাবি তাদের।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সন্দ্বীপের সারিকাইত উপকূলীয় বেড়িবাঁধ এলাকায় বিভিন্ন ইউনিয়নের লোকজন এ কর্মসূচিতে অংশ নেয়। ‘জেগে ওঠা ভূমি রক্ষা পরিষদ’ এ কর্মসূচির আয়োজন করে।

সংগঠনের আহ্বায়ক মাইটভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লায়ন মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সারিকাইত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম, মগধরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম আনোয়ার হোসেন, আজিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল আজিজ, উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক আবুল হোসেন, সহসভাপতি কাজী পসিউল আলম, যুবলীগের সভাপতি ছিদ্দিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মাকসুদুর রহমান বক্তব্য দেন।

মাইটভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লায়ন মিজানুর রহমান বলেন, দেশের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন জনপদ সন্দ্বীপের ৬০টি মৌজা থেকে ২২টি মৌজা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এখন ১৯টি ইউনিয়নের মধ্যে চারটি ইউনিয়ন ন্যায়ামস্তি, ইজ্জতপুর, কাটগড়, বাটাজোড়া অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলেছে। সারিকাইত মাইটভাঙ্গা, মুছাপুর, আজিমপুর, রহমতপুর, হরিশপুর, কালাপানিয়া ইউনিয়ন হুমকির মুখে। তিনি বলেন, প্রাচীন মৌজা ন্যায়ামাস্তি ১৯৫৩ সালে নদীভাঙনের কবলে পড়ে। ১৯৯১ সালে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পুরো এলাকায় বিলীন হয়ে যায়। ঠ্যাঙ্গার চর বা ভাসানচর সন্দ্বীপের কাছাকাছি স্থান। ভূমি জরিপ, নদী জরিপ, নকশা খতিয়ান অনুযায়ী সন্দ্বীপের বিলীন হওয়া ইউনিয়ন ন্যায়ামাস্তির অংশ বলে দাবি সন্দ্বীপবাসীর।

বক্তারা মেঘনার বুকে জেগে ওঠা চর বিএস জরিপের মাধ্যমে নির্ধারণ করে সন্দ্বীপের পূর্বপুরুষের এ চরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর না করার দাবি জানান।