নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ

সাতক্ষীরার আশাশুনির উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে তলব

Looks like you've blocked notifications!

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলায় ৩৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দাপ্তরিককাম নিরাপত্তা প্রহরী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে উপজেলা শিক্ষা অফিসার শামসুন নাহারকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ৩১ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১০টায় তাঁকে স্বশরীরে হাজির হতে বলা হয়েছে। 

একইসঙ্গে এ বিষয়ে ২৯টি প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ প্রক্রিয়া কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
   
এ ছাড়া আশাশুনি উপজেলায় ৩৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দাপ্তরিককাম নিরাপত্তা প্রহরী নিয়োগের পরীক্ষা বাতিল করে পুনরায় কেন পরীক্ষা নেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।

আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা সচিব,প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক,খুলনার প্রাথমিক শিক্ষার ডিভিশনাল ডেপুটি ডিরেক্টর,সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক,জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা,আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। 
  
এ বিষয়ে মাহবুবুল হক ও সোলাইমান গাজী নামক দুটি স্কুল পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির দায়ের করা এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্ল্যাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

রিটকারির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সাজ্জাদুল ইসলাম। এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।

এ বিষয়ে আইনজীবী সাজ্জাদুল ইসলাম জানান,সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলায় ৩৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দাপ্তরিককাম নিরাপত্তা প্রহরী নিয়োগে গত ৬,৭  এবং ৮ সেপ্টেম্বর পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু পরীক্ষার দিনই ৬ সেপ্টেম্বর পরীক্ষার সূচি প্রকাশ করা হয়। এ ছাড়া এ কারণে অনেক স্কুলে পরীক্ষার দিন পরীক্ষার্থী হাজির হয়েছিলেন মাত্র একজন করে। এমনকি অনেক স্কুলের চাকরিপ্রার্থী ছিলেন ম্যানেজিং কমিটির আত্মীয়। এসব বিষয় আইনের লঙ্ঘন। এটি নিয়ে পত্রিকায় সংবাদও প্রকাশিত হয়। বিষয়টি যুক্ত করে রিট করলে মঙ্গলবার শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়,সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার ৩৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দফতরি কাম প্রহরী পদে নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। প্রতিটি বিদ্যালয়ে একজন করে নিয়োগের বিপরীতে প্রার্থীদের কাছ থেকে মাথাপ্রতি ছয় থেকে আট লাখ টাকা আদায় করা হয়েছে। এই হিসেবে প্রায় আড়াই কোটি টাকা দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা গেছে,৬ সেপ্টেম্বর উপজেলার নয়টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পর্যায়ক্রমে অবশিষ্ট ২৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ করা হবে। এরই মধ্যে প্রতিটি বিদ্যালয়ে নিয়োগের কথা বলে নির্ধারিত পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে আগাম টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে প্রার্থী হাবিবুল্লাহ গাজী জেলা প্রশাসক বরাবর একটি আবেদন করেছেন। এতে তিনি নিয়োগে দুর্নীতির তথ্য তুলে ধরেন। 

জানতে চাইলে সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক আবুল কাসেম মো. মহিউদ্দিন বলেন ‘নিয়োগ সংক্রান্ত কিছু অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযোগ সত্য হলে নিয়োগও বাতিল করা হবে’।