আলোচনা সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী

অনুমোদনহীন ওষুধ ও ফার্মেসি বাজারে থাকবে না

Looks like you've blocked notifications!
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। পুরোনো ছবি

দেশের সব ফার্মেসিকে লাইসেন্সের আওতায় নিয়ে আসার জন্য চার মাস সময় দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। তিনি ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে বলেছেন, আগামী চার মাসের মধ্যে সব ফার্মেসিকে লাইসেন্সের আওতায় নিয়ে আসতে। এরপরও যেগুলো লাইসেন্সবিহীন থাকবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলো। 

আজ বুধবার বিকেলে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে জাতীয় ওষুধনীতি-২০১৬ বাস্তবায়ন কৌশলবিষয়ক এবং ড্রাগ লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসির বিরুদ্ধে করণীয় বিষয়ে আলোচনা সভায় মোহাম্মদ নাসিম এসব কথা বলেন।

এরপর মোহাম্মদ নাসিম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মোস্তাফিজুর রহমানকে নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘সমগ্র লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসির তালিকা সংগ্রহ করেন। তারপর যেসব ফার্মেসিকে লাইসেন্স দেওয়া যাবে ওই সব ফার্মেসিকে লাইসেন্স দেন আর যাদের দেওয়া যাবে না তাদের ফার্মেসি বন্ধ করে সিলগালা করে দেন।’

মান নিয়ে প্রশ্ন আছে এমন সব দুই নম্বর ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কিছু খারাপ কোম্পানির জন্য আমরা কেন আমাদের সমগ্র ওষুধ সেক্টরের সুনাম নষ্ট করব? তার চেয়ে ভালো আমরা কিছু ভালো কোম্পানিকে আরো প্রোমোট করার চেষ্টা করব। তাতে আমাদের ওষুধ সেক্টরকে আরো ভালো অবস্থানে নিয়ে যেতে পারব আমরা।’

ধীরে ধীরে সব ফার্মেসিকে মডেল ফার্মেসিতে রূপান্তর করার কথা চিন্তা করতে বলে মন্ত্রী বলেন, ‘সব ফার্মেসিকে মডেল ফার্মেসিতে রূপান্তর করা গেলে ফার্মেসির মালিক কর্তৃক সব দুর্নীতি বন্ধ করা সম্ভব।’ তিনি আরো বলেন, ‘প্রত্যেক সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে অন্তত একটি করে মডেল ফার্মেসি দ্রুতই নির্মাণ করা হবে।’
অনুমোদনহীন ওষুধ সম্পর্কে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, লাইসেন্সবিহীন কোনো ওষুধ বাজারে বিক্রি হবে না। সরকারের এমন কঠোর মনোভাব রয়েছে। ওষুধনীতি বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

আলোচনা সভার সভাপতি ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘অনেক সমস্যা নিয়েও আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা পেলে আমরা আজকের আলোচনায় উঠে আসা যাবতীয় সমস্যার সমাধান করতে পারব।’

ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো ছিলেন অধিদপ্তরটির পরিচালকেরা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক এ বি এম ফারুক, ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি এ কে আজাদ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, ওষুধশিল্প সমিতি এবং কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট শিল্প সমিতির প্রতিনিধিরা।