দাম নির্ধারণের পর ঢাবির ক্যান্টিনে খাবারের মান নিয়ে শঙ্কা

Looks like you've blocked notifications!

নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে উচ্চ মূল্যে নিম্নমানের খাবার বিক্রি, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও বেহাল অবস্থার মধ্যে দিয়ে চলা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ক্যান্টিনগুলোতে অবশেষে খাদ্যদ্রব্যের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে মূল্য আরোপের পর  ক্যান্টিনগুলোতে খাবারের মান ঠিক থাকবে কি না, তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন  বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

গত সোমবার উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান নিজেই  খাবারের মূল্য নির্ধারণ করে দেন। এর আগে গত ১১ অক্টোবর ১৮টি হলের প্রাধ্যক্ষদের নিয়ে অমর একুশে হলে প্রভোস্ট কমিটির এক সভার আয়োজন করা হয়। সেই সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষসহ ২১ জন আবাসিক শিক্ষক ও ১৫ জন ক্যান্টিন মালিক  উপস্থিত ছিলেন। এতে সব হলের খাবারের মূল্য নির্ধারণের সিদ্ধান্ত হয়।

সভায় বিভিন্ন হলে বর্তমানের সকাল, দুপুর ও রাতের খাবারের মূল্য বিবেচনা করেই সবার পরামর্শে মূল্য নির্ধারণ করার সুপারিশ করা হয়েছে। এই তালিকার কম মূল্যে যদি কোনো হলে খাবার পরিবেশন করে থাকে, তবে তা অব্যাহত থাকবে বলেও সিদ্ধান্ত হয়।

নির্ধারিত সকালের খাবারের মূল্যে দেওয়া আছে পরোটা ৩ টাকা, ডাল/ভাজি/সবজি ৫টাকা, ডিম ভাজি ১০টাকা ও খিচুড়ি (ফুল) ১২ টাকা ও হাফ ৬ টাকা।

দুপুর ও রাতের খাবারের মধ্যে ভাত (ফুল) ৬ টাকা, হাফ ভাত ৩ টাকা, মুরগি ২০ টাকা, ভাত/মুরগগি/ডাল ৩০ টাকা, গরুর মাংস ৩০ টাকা, ভাত/গরু/ডাল ৪০ টাকা, মাছ ১৮ টাকা, ভাত ও মাছ ২৮ টাকা, রুই/কাতলা  ২২ টাকা এবং ভাত ও রুই/কাতলা ৩২ টাকা।

এই মূল্য নির্ধারণের পর খাবারের মান নিয়ে দ্বিধায় আছেন শিক্ষার্থীরা। ঢাবির জহুরুল হক হলের শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘শুনেছি খাবারের মান নাকি নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে তা কার্যকর হবে কি না, সন্দেহ আছে। তা ছাড়া কার্যকর হলেও খাবারের মান আরো নিম্ন হবে।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে মাস্টার দ্য সূর্যসেন হলের এক ছাত্রলীগ নেতা বলেন, ‘হলের ক্যান্টিনে ছাত্রলীগ নেতারা যেভাবে বাকি খায়, যদি টোকেনের ব্যবস্থা করা হয়, তবে কেউ বাকি খেতে পারবে না, খাবারের মানও ভালো থাকবে। তা না হলে এ মূল্যে খাবারের মান নিম্ন হবে।’

এ বিষয়ে হলের প্রাধ্যক্ষদের সমন্বয়ক অধ্যাপক.  ড. আনোয়ারুল ইসলাম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমরা সব হলের প্রাধ্যক্ষ, শিক্ষক ও ক্যান্টিন মালিকদের নিয়ে আলোচনা করেছি। ক্যান্টিন মালিকরা তাদের সমস্যার কথা বলেছে। আমরা সেটি সমাধান করে দিয়েছি। খাবারের মান নিয়ে কোনো সমস্যা থাকবে না।’

জানতে চাইলে ঢাবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যাতে ভালোভাবে খেতে পারে, খাবারের দাম ও মান নিয়ে যাতে কোনো প্রশ্ন করতে না পারে, সে বিষয়টি সামনে রেখেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নিজ নিজ হলের প্রাধ্যক্ষ, ক্যান্টিন মালিক ও শিক্ষার্থীরা বিষয়টিকে কীভাবে এগিয়ে নেবেন, সে বিষয়ে তাঁরা আলোচনা করবেন।’