‘ঘরে ভাত নাই, রোডে উঠলে পুলিশে ধরে’
‘ঘরে ভাত নাই, রোডে উঠলে পুলিশে ধরে। রোডে গাড়ি চালাইতে পারতাছি না বিভিন্ন ঝামেলার কারণে, অহন আমরা গাড়ি না চালাইয়া কী করব? কোনো উপায় নাই।’
এনটিভি অনলাইনকে এভাবেই বললেন কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক তারেক মিয়া।
দুর্ঘটনা এড়াতে মহাসড়কে সব ধরনের থ্রি হুইলার চলাচলা নিষিদ্ধের আদেশ দিয়েছে সরকার। আগামী ১ আগস্ট থেকে মহাসড়কগুলোতে কোনো কম গতিসম্পন্ন যান চলাচল করতে পারবে না। এ ঘোষণা বাস্তবায়নের আগে থেকেই সচেতনতা বাড়াতে মহাসড়কে এর চলাচলে বাধা দিচ্ছিল পুলিশ। এতে গত কয়েক দিন মহাসড়কে এ যান চলাচল বন্ধ ছিল।
হঠাৎ বুধবার বিকেল থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও সব ধরনের থ্রি হুইলার চলাচল শুরু হয়।
বন্ধ থাকার পর আবারও মহাসড়কে কেন জানতে চাইলে সিএনজি অটোরিকশার চালক সহিদুল্লা বলেন, ‘গত মঙ্গলবার কুমিল্লার ময়নামতিতে মালিক চালক ও পুলিশ নিয়া মিটিং হইছে, বলছে ১ তারিখের আগে পর্যন্ত চালাইতে পারমু।’
সহিদুল্লা আরো বলেন, ‘কয়েক দিন আগে মহাসড়কে চালানোর কারণে পুলিশে গাড়ি নিয়ে গেছিল, মালিক টাকা দিয়া ছুটাইয়া আনছে।’
নিজের দুঃখের কথা বর্ণনা করে ওই চালক আরো বলেন, ‘আমরা অনেকে কিস্তিতে সিএনজি আনছি , কিস্তি দিতে না পারলে তারা বাড়িত আইসা ওঠে। গাড়ি চালাইতে না পাইরা অহন আমরা কিস্তিটাও চালাইতে পারতাছি না।’
এদিকে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করে এবং স্থানীয় সাধারণ যাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কি না জানতে চাইলে পূর্বাঞ্চল হাইওয়ে পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে কোনো তথ্য পাইনি, তবে ১ আগস্ট থেকে মহাসড়কে তিন চাকা বিশিষ্ট সব ধরনের যান্ত্রিক ও অযান্ত্রিক বাহন চলাচলে নিষেজ্ঞার প্রজ্ঞাপন পেয়েছি।’