ইউপি চেয়ারম্যানদের বিরুদ্ধে উপজেলা চেয়ারম্যানের অভিযোগ
নওগাঁর বদলগাছি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানরা এলজিএসপি ও হাটবাজার থেকে পাওয়া টাকা দিয়ে কোনো প্রকল্পে কাজ না করেই ভুয়া বিল তুলছেন।
বদলগাছি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা অলি আহমেদ রুমি চৌধুরী আজ শুক্রবার নওগাঁ জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন। তাঁর দাবি, ইউপি চেয়ারম্যানদের এই অনিয়মের তদন্ত করতে গিয়ে তিনি তাঁদের রোষানলে পড়েছেন। এর জের ধরে ইউপি চেয়ারম্যানরা একযোগে তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন কুৎসা রটনা করছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জানান, এলজিএসপি ও হাটবাজার থেকে পাওয়া টাকায় উপজেলার বালুভরা ইউনিয়নে ১০টি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। গত ২৬ জুলাই সেগুলো পরিদর্শনে গিয়ে তিনি দেখতে পান, ১০টি প্রকল্পের কোনো কাজ করা হয়নি। একইভাবে ২৮ জুলাই উপজেলার বিলাসবাড়ী ইউনিয়ন পরিদর্শনে গিয়ে দেখতে পান, ওই ইউনিয়নে অনুরূপ ১৫টি প্রকল্পের মধ্যে মাত্র চারটির কাজ আংশিক সম্পন্ন করা হয়েছে। অবশিষ্ট ১১টি প্রকল্পের কোনো কাজ করা হয়নি। এসব ইউনিয়নের সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলো পরিদর্শনের সময় বদলগাছি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হুসাইন শওকত ও উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান তাঁর সঙ্গে ছিলেন।
উপজেলা চেয়ারম্যান আরো অভিযোগ করেন, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) ২৪ লাখ টাকা বিভিন্ন দ্রব্য ক্রয় করে উপজেলার আটটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের মধ্যে বণ্টন করা হয়েছে। তাঁরা সেসব দ্রব্য স্বাক্ষর দিয়ে গ্রহণ করার পরও উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ওই টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনেছেন। এ ক্ষেত্রে তিনি উল্লেখ করেন, গত ১০ জুন তারিখের সমন্বয় সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পিপিআর-২০০৮ অনুযায়ী ঠিকাদারের মাধ্যমে এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের অনুকূলে চেকের মাধ্যমে বিল পরিশোধ করা হয়েছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানরা প্রকল্পগুলোর কাজ না করে পুরো টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এ ক্ষেত্রে তিনি অন্তরায় হওয়ায় নিজেদের ব্যর্থতার দায়ভার উপজেলা চেয়ারম্যানের ওপর চাপাতে মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করে সংবাদপত্রে অসত্য সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি ওই সংবাদের প্রতিবাদ জানান।