টানা বৃষ্টিতে আশুগঞ্জে চার শতাধিক চাতালকল বন্ধ
টানা বৃষ্টির কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের চার শতাধিক চাতালকলে চাল উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেকার হয়ে পড়েছেন শ্রমিকরা। চাতাল বন্ধ থাকায় লাখ লাখ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে বলে চাতালমালিকরা দাবি করেছেন।
আশুগঞ্জ চাতালকল ব্যবসায়ী সমিতির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি হাজি মো. শাহজাহান সিরাজ বলেন, ‘টানা বৃষ্টির কারণে আমরা চাতালকল বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছি। চাল উৎপাদন করা যাচ্ছে না। তাই শ্রমিকদেরও কোনো কাজ নেই। এতে আমাদের পাশাপাশি তাঁরাও বিপাকে পড়েছেন।’
চাতালকল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন জানান, চার শতাধিক চাতালকলে প্রায় আড়াই লাখ মণ ধান মজুদ রয়েছে। টানা বৃষ্টির কারণে ধান শুকাতে না পারায় চাল উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে না। ধান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণের সুদ, বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে। এসব কারণে চাতালমালিকদের লাখ লাখ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে।
চাতালশ্রমিক রহিম মিয়া, আলী মিয়া ও হাসিনা বেগম জানান, দিনের কাজের মজুরি দিনেই পাই। তাই এখন কাজ বন্ধ, মজুরিও বন্ধ। পরিবারের জন্য দুই বেলা দুই মুঠো ভাত জোগাড় করতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। ঋণ করে চলতে হচ্ছে।
এদিকে আশুগঞ্জ বন্দরে অবস্থানরত কার্গো জাহাজ, নৌকা ও বলগেট থেকে সব ধরনের মালামাল ওঠানামা আজ শনিবার দ্বিতীয় দিনের মতো বন্ধ রয়েছে। এতে ১০ সহস্রাধিক শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন। শ্রমিকরা বলছেন, বৃষ্টির কারণে কাজ করতে না পারায় জীবিকা নির্বাহ বন্ধ হয়ে গেছে। তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে বিপাকে আছেন।