‘মধ্যবর্তী নয়, বিএনপি নতুন নির্বাচন চায়’

Looks like you've blocked notifications!
রাজধানীর নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আজ রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন। ছবি : এনটিভি

মধ্যবর্তী নির্বাচন নয়, বিএনপি চায় নতুন একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন যাতে সব দল অবাধে অংশ নিতে পারে। দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, জনগণের চাপের মুখে এ সরকার নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা মেনে নেবে।

আজ রোববার রাজধানীর নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন। বেসরকারি শিক্ষা খাতে আরোপিত ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হলেও সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের মধ্য দিয়ে উঠে আসে চলমান রাজনীতি ও আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গও।

দলের মুখপাত্র আসাদুজ্জামান রিপন শিক্ষা খাতে ভ্যাট প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়ে এ সরকারকে শিক্ষাবিরোধী ও গণবিরোধী বলে আখ্যা দেন। তিনি বলেন, জনগণ এ সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না, চায় একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন।urgentPhoto

আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ‘৫ জানুয়ারি যে নির্বাচন হয়ে গেল তা নিয়মতান্ত্রিক নয়। এখানে নতুন করে একটি নির্বাচন দিতে হবে। মধ্যবর্তী নির্বাচনের প্রসঙ্গই আসে না। আমরা নতুন নির্বাচন চাই। আমরা এমন একটি নির্বাচন চাই, যেখানে জনগণ সকল ভয়ভীতির ঊর্ধ্বে উঠে একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে স্বাধীনভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে।’

অন্যদিকে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল আয়োজিত এক আলোচনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, অনির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় থাকার কারণেই অপরাধীরা এখন আর আইনকে ভয় পায় না। তিনি বলেন, জনগণের নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত দেশে নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটতেই থাকবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘যত চোর-ডাকাত আছে তারা সবাই একটি চমৎকার সময় অতিক্রম করছে। তারা মনে করছে, আমাদের চেয়ে বড় দোষী তো বসে আছে, কাজেই আমাদের আর অসুবিধা কী?’

‘সমাজতন্ত্রই তো গণতন্ত্রের সঙ্গে যায় না, আর বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের তো প্রশ্নই আসে না। তারাই যখন গণতন্ত্রের রক্ষক-পালক তখন গণতন্ত্রের তো টক্সিক না হওয়ার কারণ নাই।’ যোগ করেন নজরুল ইসলাম খান।

 এ আলোচনায় অংশ নিয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানী এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের কারণে দেশে আইনের শাসন নেই, যার ফলে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পাচ্ছে।