রোহিঙ্গা প্রশ্নে আইন চেয়ে করা রিট খারিজ
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়ন্ত্রণ ও সুরক্ষার লক্ষ্যে আইন প্রণয়নের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে করা রিট আবেদন খারিজ করেছেন হাইকোর্ট।
আজ রোববার বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর বেঞ্চে এ আবেদনের ওপর শুনানি শেষে তা খারিজ করে দেন।
রিটকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তানজিম আল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
আইনজীবী তানজিম আল ইসলাম বলেন, সংবিধানের ৩১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী দেশের প্রত্যেক নাগরিকের পাশাপাশি সমসাময়িক বাংলাদেশে অবস্থানরত অপরাপর ব্যক্তিদের ও প্রত্যেকের আইনের আশ্রয় লাভের অধিকারের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সংবিধানের এ বিধানমতে শরণার্থীরা কীভাবে এবং কোন আইনে আশ্রয় নেবে তা আইন দ্বারা নির্ধারিত হয়নি। ফলে শরণার্থী সংক্রান্ত আইন প্রণয়ন করা জরুরি। আদালত শুনানি গ্রহণ করে রিট খারিজ করেছেন।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট দায়ের করেন। রিটে বলা হয়েছে, সরকার মানবিক দিক বিবেচনায় নিয়ে অনেক আগে থেকেই রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়েছে। সম্প্রতি মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর হত্যা ও নির্যাতন থেকে রক্ষা পেতে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী হিসেবে এই দেশে প্রবেশ করেছে। বিশাল এই শরণার্থী জনগোষ্ঠীকে নিয়ন্ত্রণ ও সুরক্ষার জন্য একটি আইনি কাঠামো থাকা খুবই জরুরি।
রিট আবেদনে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণার ১৪ নম্বর ধারা অনুযায়ী, বাংলাদেশে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছে। এখন তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার বিষয়টিও রয়েছে। ১৯৫১ সালের শরণার্থী বিষয়ক কনভেনশনে সুরক্ষার বিষয়টি বলা আছে। আর ১৯৬৭ সালের প্রটোকলে সে কনভেনশনের সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ এ দুটির কোনোটিতেই স্বাক্ষর করেনি। ফলে একটি আইনি কাঠামোর শূন্যতা রয়েছে।
রিটে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শরণার্থীবিষয়ক আইন থাকলেও বাংলাদেশে কোনো এ বিষয়ে কোনো আইন নেই। এ কারণে এ বিষয়ে আইন প্রণয়নের সরকারকে হাইকোর্টের নির্দেশনা দেওয়া দরকার।
রিট আবেদনে আইনসচিব, পররাষ্ট্রসচিবকে বিবাদী করা হয়েছিল।