এস কে সিনহাকে জোর করে পদত্যাগ করানো হয়েছে
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত আওয়ামী লীগের ১৫৪ সংসদ সদস্যকে অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্ট রায় দিতে পারে এমন আতঙ্ক থেকেই সরকারের লোকজন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এই অভিযোগ করেছেন। জাতীয় প্রেসক্লাবে আজ মঙ্গলবার জাতীয়তাবাদী কৃষক দল আয়োজিত ৭ নভেম্বরের আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন তিনি।
আলোচনা সভায় বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেন, সরকার উদ্দেশ্যমূলকভাবেই ৭ নভেম্বরের ঘটনাকে বিতর্কিত করতে উঠে পড়ে লেগেছে। তাঁরা বলেন, জিয়াউর রহমানই বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
দেশে এখন সে গণতন্ত্র নেই উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভায় জনস্রোত দেখে ভয় পেয়েছে সরকার। জনগণ আর কোনো বিনাভোটের নির্বাচন দেখতে চায় না।
এ সময় প্রধান বিচারপতির পদত্যাগ প্রসঙ্গেও কথা বলেন খন্দকার মোশাররফ। তিনি বলেন, আইন বিভাগ ২০১৪ সালে সংসদকে নির্বাচন ছাড়া একটি গায়ের জোরে ঘোষিত সংসদ দিয়ে এই সংসদের কার্যকারিতা শেষ করে দিয়েছে। এই জন্য প্রধান বিচারপতি এই রায়কে ডিসফাংশনাল (অকার্যকর) বলেছেন। এতে আওয়ামী লীগ গোসসা হয়েছে। কিন্তু এইটা ডিসফাংশনাল। কেননা এখানে ১৫৪টি আসনে কোনো প্রার্থী ছিল না। রিট করা আছে যে এই ১৫৪ জন অবৈধ। সেই রিটটা শুনানি করবেন, হয়তো সিদ্ধান্ত যেতে পারে যে ১৫৪টি আসন অবৈধ। তাহলে সরকার অবৈধ হয়ে যায়। এ জন্য প্রধান বিচারপতিকে ন্যক্কারজনকভাবে জোর করে তাঁর থেকে পদত্যাগপত্র নেওয়া হয়েছে। এটা অশনি সংকেত।
এদিকে আজ মঙ্গলবার কুড়িগ্রামে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, নিজেদের ইচ্ছে পূরণের জন্য আদালতকে ব্যবহার করছে সরকার। তিনি বলেন, গুণ্ডামি করে এস কে সিনহাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে। সরকার নিজেদের ইচ্ছে পূরণে অর্থাৎ রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমন করার জন্য এখন আদালতকে ব্যবহার করবে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর অধীনে বিএনপি কোনো নির্বাচনে যাবে না বলেও পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।