পাবনার বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মুহাম্মদ নূরুন্নবীর ইন্তেকাল
পাবনা জেলার সর্বজন শ্রদ্ধেয় বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মুহাম্মদ নূরুন্নবী (৭৫) আর নেই। আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি ইন্তেকাল করেন ( ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে, তিন মেয়ে, আত্মীয়স্বজন, অসংখ্য ছাত্রছাত্রী ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
মুহাম্মদ নূরুন্নবীর মৃত্যুর সংবাদ শুনে পাবনা সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স, পাবনা জেলা পরিষদের প্রশাসক এম সাইদুল হক চুন্নু, জেলা প্রশাসক কাজী আশরাফ উদ্দীন, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ মোশারোফ হোসেনসহ বিভিন্ন শ্রেণি- পেশার মানুষ পাবনা জেনারেল হাসপাতাল ও তাঁর শিবরামপুরের বাড়িতে ছুটে যান।
অধ্যাপক মুহাম্মদ নূরুন্নবীর মৃত্যুতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ডিলু, মাছরাঙা টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু, পাবনা সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স, পাবনা জেলা পরিষদের প্রশাসক এম সাইদুল হক চুন্নু, জেলা প্রশাসক কাজী আশরাফ উদ্দীন, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, পাবনা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ মোশারোফ হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা চন্দন চক্রবর্তী, আবদুল হামিদ মাস্টার, সোহেল হাসান শাহিন, পাবনা জেলা বিএনপির সভাপতি মেজর (অব.) কে এস মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার হাবিবুর রহমান তোতা, পাবনা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আলহাজ আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, সিনিয়র সহসভাপতি মাহবুব উল আলম মুকুল, সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি এম সাইদুল হক চুন্নু, সাধারণ সম্পাদক ডা. রাম দুলাল ভৌমিক, পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি রবিউল ইসলাম রবি, সাধারণ সম্পাদক আহমেদ উল হক রানা, পাবনা জেলা সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি দৈনিক জোড়বাংলা সম্পাদক আব্দুল মতিন খান, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ডা. আব্দুস সালাম, সাধারণ সম্পাদক দৈনিক নতুন বিশ্ববার্তা সম্পাদক অধ্যাপক শহিদুর রহমান শহিদসহ বিভিন্ন সংগঠন শোক প্রকাশ করেছে।
পারিবারিক সূত্র জানায়, আজ মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় বক্তব্য দেওয়ার পর পরই মুহাম্মদ নূরুন্নবী হৃদরোগে আক্রান্ত হন। তাৎক্ষণিকভাবে জেলা প্রশাসকসহ প্রশাসনের লোকজন তাঁকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. বি এম শাফিকুল হাসান জুয়েল দুপুর সাড়ে ১২টায় তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
অধ্যাপক নূরুন্নবী পাবনা বইমেলা উদযাপন পরিষদের সভাপতি, রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদ, পাবনা জেলা শাখার সভাপতি, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি ছিলেন। এ ছাড়া পাবনার বিভিন্ন সামাজিক -সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। সুবক্তা হিসেবে তাঁর সুখ্যাতি ছিল। তিনি ছিলেন পাবনার সর্বস্তরের মানুষের অত্যন্ত প্রিয় এবং শ্রদ্ধাভাজন। জেলার শিক্ষা বিস্তারে সদালাপী মানুষটির ছিল ঐকান্তিক ভূমিকা। মুক্ত চিন্তার এবং সদা হাস্যোজ্জ্বল এই মানুষের মৃত্যুর খবরে শহরজুড়ে নেমে আসে শোকের ছায়া। শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, চিকিৎসক, প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীসহ অসংখ্য মানুষ তাঁর শিবরামপুরের বাড়িতে ছুটে যান। তাঁর মেজ ছেলে মাহমুদুন্নবী হিল্লোল বেলজিয়ামে অবস্থান করায় তিনি আসার পর লাশ দাফন করা হবে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।