কাজলা বিল ভরাটে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা

Looks like you've blocked notifications!

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ভোলাব ইউনিয়নের চার মোচারিতালুক এলাকার কাজলা বিলে ড্রেজার দিয়ে মাটি ভরাট ও বালু ভরাট কাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার মোচারিতালুক এলাকার কাজলা বিলের কৃষকদের জমি, পুকুর, খাল রক্ষায় জারি করা চূড়ান্ত রুলের শুনানির জন্য ২৮ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার রিটের ওপর শুনানিকালে একটি সম্পূরক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই নিষেধাজ্ঞা  জারি করেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মারিয়াম খন্দকার।

আইনজীবী তৈমূর আলম খন্দকার সাংবাদিকদের জানান, ওই এলাকার একটি চক্র পরিবেশ ধ্বংসে লিপ্ত। এখানে চার মৌজা মোড় চারিতালুক, কুতুবপুর, করাটিয়া, তারইলে প্রায় তিন হাজার একর ফসলি জমি রয়েছে।

এখানে রিমঝিম পুলিশ টাউন ও ইতালিয়ান সিটি আবাসন প্রকল্পের নামে বালু ভরাট করছে। ভূমি কার্যালয়ের এরই মধ্যে প্রায় ৭০০ বিঘার মতো ফসলি জমি ভরাট করা হয়েছে। এতে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে।

আইনজীবী জানান, পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত আদালত ওই এলাকায় বালু ভরাটের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন।

এর আগে গত ২৪ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার চারিতালুক এলাকার কাজলা বিলের কৃষকদের জমি, পুকুর, খাল রক্ষায় বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

আদালতে রিট আবেদনটি দায়ের করেন স্থানীয় বাসিন্দা বাদশা মিয়াসহ চারজন। ভূমি কার্যালয় থেকে দেওয়া এক তথ্যে পুলিশ টাউনের নামে কোনো ধরনের জমির বরাদ্দ নেই বলে জানানো হয়।

এর আগে একটি জাতীয় দৈনিকে ‘দয়াগঞ্জে কৃষি জমিতে আবাসন প্রকল্প’ শীর্ষক প্রকাশিত প্রতিবেদন আবেদনে সংযুক্ত করে এই আবেদন করা হয়। ওই আবেদনের শুনানিতে আদালত এই আদেশ দেন।