শরীয়তপুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

রোহিঙ্গাদের স্থায়ীভাবে প্রত্যাবর্তনে কাজ করছে সরকার

Looks like you've blocked notifications!
শরীয়তপুর পুলিশ লাইন মাঠে ‘জঙ্গিবাদবিরোধী ওলামা-মাশায়েখ সমাবেশ ২০১৭’ অনুষ্ঠানে আজ রোববার প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। ছবি : এনটিভি

শরীয়তপুর জেলা পুলিশ ও কমিউনিটি পুলিশিং ওলামা মাশায়েখ ফোরামের আয়োজনে শরীয়তপুর পুলিশ লাইন মাঠে ‘জঙ্গিবাদবিরোধী ওলামা -মাশায়েখ সমাবেশ ২০১৭’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। 

পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুনের সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল ইসলাম। 

এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য বি এম মোজাম্মেল হক, সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট নাভানা আক্তার, পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত আইজি মোহা. শফিকুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মাহবুবা আক্তার, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে, শরীয়তপর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম কোতোয়াল, আলেম ওলামা নেতা হাফেজ শওকত আলী প্রমুখ। 

সমাবেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, রোহিঙ্গাদের স্থায়ীভাবে প্রত্যাবর্তনের জন্য কাজ করছে সরকার। মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের প্রতিনিধিদলের যে সমঝোতা স্বাক্ষর হয়েছে, তাতে যথা সময়ের মধ্যেই রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো সম্ভব হবে। আন্তর্জাতিক নেতারাও এবং বিশ্ব নেতারাও এটাই চাচ্ছেন তারা যেন যথা সময়ে নিজ দেশে ফিরে যেতে পারে। কিন্তু মিয়ানমার থেকে বারবার রোহিঙ্গাদের আমাদের দেশে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। তারা সহায়-সম্বল ফেলে আমাদের দেশে চলে আসছে। সেখানে নারীদের পাশবিক নির্যাতন করা হয়েছে। এখনো ১০ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। 

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে প্রশংসিত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মাদার অব হিউমিনিটি বলে আখ্যায়িত করেছে বিশ্ব গণমাধ্যম। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, আমরা সাড়ে ১৬ কোটি মানুষ খেতে পারলে আশ্রয় নেওয়া ১০ লাখ রোহিঙ্গারাও খেতে পারবে। তিনি সেদিন বলে ছিলেন, এটাই মানবতা, এটাই ধর্ম। 

দেশে জঙ্গিবাদ প্রশ্নে আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ধর্মান্ধ নয়। আমি দেশের প্রতিটি উপজেলায় ঘুরেছি। বাংলাদেশের মানুষ এত ভ্রাতৃত্ববোধে আবদ্ধ যে, একে অপরের বিপদের সময় পাশে দাঁড়ানোর মতো মানুষ বাংলাদেশ ছাড়া আমি আর কোথাও দেখিনি। আলেম-ওলামারা আমাদের পাশে থাকলে এ দেশে আর কোনো জঙ্গিবাদ মাথা চারা দিয়ে উঠতে পারবে না। 

মন্ত্রী বলেন, ইসলামের নীতি আদর্শ শান্তির পক্ষে। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ইসলামের আদর্শ। জঙ্গিবাদ ইহুদিরা তৈরি করেছে। কিন্তু জঙ্গিবাদে মুসলমানরা বিপথগামী হয়ে পা দিয়েছে। তাই জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে ইসলামের আদর্শ প্রচার করতে হবে প্রতিটি সমাজে, মসজিদে মসজিদে। 

মুসলমানদের সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বক্তারা বলেন, যুব সমাজকে যাতে ভুল পথে নিতে না পারে সেই দিকে সচেতন সব মুসলমানকে খেয়াল রাখতে হবে।