ভোট জালিয়াতি, কেন্দ্রে মারামারি করে পুরুষ : সিইসি

Looks like you've blocked notifications!
নির্বাচনে নারীর অংশগ্রহণবিষয়ক আলোচনা সভায় কথা বলেন সিইসি কে এম নূরুল হুদা। ছবি : এনটিভি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, ‘মেয়েরা কখনো ভোট রিগিং করে না, ভোট জালিয়াতি করে না, ভোটকেন্দ্রে গিয়ে মারামারি করে না। এগুলো সব পুরুষদের কাজ।’

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘নির্বাচনে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি’বিষয়ক আলোচনায় এসব কথা বলেন সিইসি কে এম নূরুল হুদা। আন্তর্জাতিক সংস্থা ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল ওই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

রাজনৈতিক দলগুলোর নেতৃত্বে ৩৩ শতাংশ নারী প্রতিনিধি নিশ্চিত করার আইন থাকলেও বর্তমানে কোনো দলই তাতে পৌঁছাতে পারেনি। আলোচনা সভায় প্রধান দলগুলোর নারী প্রতিনিধিরা দাবি করেন, শুধু দলের কমিটিতে নয়, সংসদ নির্বাচনেও নারী প্রতিনিধিত্ব বাড়াতে আইন করা প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা জানান, নারীদের মনোনয়ন বাড়াতে দলগুলোর প্রতি কমিশনের চাপ দেওয়ার সুযোগ নেই।

মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা ব্লুম বার্নিকাট বলেন, ‘গণতন্ত্রের মূল চাবিকাঠি হলো সবার অংশগ্রহণ। শক্তিশালী গণতন্ত্রে বাধা ও চাপমুক্ত থেকে ভোট প্রদানের সুযোগ থাকতে হবে। মত প্রকাশ করার সকলের সমান সুযোগ থাকবে। তার মানে এই নয় যে আমি একেবারে সঠিক কোনো গণতান্ত্রিক দেশের প্রতিনিধিত্ব করছি। গণতন্ত্র খুব কঠিন একটি শাসন ব্যবস্থা। তারপরও এটার জন্য আমাদের কাজ করে যেতে হবে। সেটাই আমরা চাই।’

প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বলেন, ‘মহিলাদের নেতৃবৃন্দ চাইছেন যে, দলমত নির্বিশেষে তাঁদেরকে একটি পৃথক গোষ্ঠী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে তাঁদের সঙ্গে পৃথক আলোচনা করা হোক। দলমত নির্বিশেষে সকল মহিলাদের নিয়ে একত্রে তাঁরা কী বলেন তাঁদের মতামত নিন।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘পলিটিক্যাল মাইন্ডসেট বদলানোর জন্য যে মন মানসিকতার দরকার সেটার প্রথম ধাপ হচ্ছে আমরা গণতান্ত্রিক চিন্তা-চেতনায় বিশ্বাস করি কি না। আমরা গণতন্ত্রকে হৃদয়ে ধারণ করি কি না। নাকি গণতন্ত্রের কথা বলি, আসলে কিন্তু গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি না।’