ব্যাংকে গ্রাহকের টাকা ‘চোরদের’ কি চেনেন?

Looks like you've blocked notifications!
ব্যাগ কেটে টাকা চুরির সঙ্গে জড়িত সন্দেহে এই ব্যক্তিদের ছবি প্রকাশ করেছে উত্তরা পূর্ব থানার পুলিশ। ছবি : সংগৃহীত

চোর ধরতে সাধারণ মানুষের সহযোগিতা চেয়েছে রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানার পুলিশ। আর এজন্য নির্দিষ্ট দুটি ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজন কয়েকজন ব্যক্তির ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে।

উত্তরা পূর্ব থানা এলাকায় একটি চক্রের সন্ধান পাওয়া গেছে, যারা ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়া বা তোলার সময় সুযোগ বুঝে গ্রাহকের ব্যাগ কেটে টাকা চুরি করে পালিয়ে যায়। সম্প্রতি এ রকম দুটি ব্যাংকের ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার (সিসিটিভি) ফুটেজ দেখে সন্দেহভাজন দুই চোরের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। এদের ধরিয়ে দিতে সাধারণ মানুষের সহযোগিতাও চেয়েছে পুলিশ।

এর মধ্যে একটি ঘটনা ঘটে গত ১৩ সেপ্টেম্বর। টাকা চুরির বিষয়টি জানিয়ে সেদিনই উত্তরা পূর্ব থানায় একটি মামলা করেন জসিম উদ্দিন আহম্মেদ নামের এক ব্যক্তি।

মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, জসিম উদ্দিন আহম্মেদ গত ১৩ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জনতা ব্যাংক উত্তরা শাখা থেকে তিন লাখ ৮০ হাজার টাকা উত্তোলন করেন। এরপর সেই টাকা জমা দিতে তিনি উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরের ট্রাস্ট ব্যাংকে যান। ট্রাস্ট ব্যাংকে পৌঁছার পর জমা রসিদে টাকার অঙ্ক লিখে নির্ধারিত কাউন্টারে জমা দিতে গেলে দেখতে পান তাঁর ব্যাগের একটি অংশ কাটা হয়েছে। গুনে দেখেন ব্যাগটি থেকে এক লাখ ৮০ হাজার টাকা চুরি হয়েছে।

জসিম উদ্দিন আহম্মেদ ধারণা করছেন, টাকা জমা দেওয়ার রসিদ লেখার সময় অজ্ঞাত কে বা কারা তাঁর ব্যাগ কেটে টাকা চুরি করেছে। ঘটনাটি তিনি সঙ্গে সঙ্গেই ব্যাংক মানেজারকে জানান এবং এই চুরির ঘটনার জন্য উত্তরা পূর্ব থানায় এজাহার দায়ের করেন।

প্রায় একই ধরনের ঘটনা জানিয়ে গত ১৬ নভেম্বর উত্তরা পূর্ব থানায় মামলা করেন মো. আরিফ বিল্লাহ নামের এক ব্যক্তি।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ঘটনার দিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে একটি কালো হাতব্যাগে ৮০ হাজার টাকা নিয়ে টেলিফোন ট্রান্সফার বা টিটি করতে উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরের সোনালী ব্যাংকে যান। ব্যাংকের জমা রসিদে টিটির বিবরণী লিখে টাকা কাউন্টারে জমা দিতে গিয়ে দেখেন তাঁর ব্যাগের একাংশ কেটে সব টাকা চুরি করে নিয়ে গেছে। বিষয়টি তিনি তাৎক্ষণিকভাবে ব্যাংক ম্যানেজারকে জানান এবং উত্তরা পূর্ব থানায় চুরির ঘটনায় মামলা দায়ের করেন।

এই ঘটনায়ও বাদী ধারণা করছেন, টাকা জমার রসিদ লেখার সময় চোর তাঁর ব্যাগ কেটে টাকা চুরি করে নিয়ে গেছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার সুমন কান্তি চৌধুরী জানান, উল্লেখিত দুটি ঘটনায় থানায় মামলা হওয়ার পরে ব্যাংক থেকে সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে তা পর্যালোচনা করা হয়। সেখান থেকে কয়েকজন ব্যক্তিকে চুরির ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্ণিত করা হয়েছে।

তাই এই মামলা দুটি সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের জন্য এই ব্যক্তিদের সন্ধান জানা একান্ত প্রয়োজন বলে জানান সুমন কান্তি চৌধুরী।

যদি কেউ এসব ব্যক্তির মধ্যে কাউকে চিনতে পারেন বা তাঁদের সন্ধান দিতে পারেন তাহলে উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সঙ্গে ০১৭১৩৩৭৩১৬১ এই নম্বরে যোগাযোগ করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছে উত্তরা পূর্ব থানার পুলিশ।