সাংবাদিক লাঞ্ছনার ঘটনায় মানববন্ধন, প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি

Looks like you've blocked notifications!
সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও লাঞ্ছিত করার ঘটনায় পঞ্চগড়ে সোমবার মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ছবি : এনটিভি

পঞ্চগড়ের ছয়জন সাংবাদিকের ওপর হামলা ও লাঞ্ছিত করার ঘটনায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে  শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে পঞ্চগড় প্রেসক্লাব এসব কর্মসূচি পালন করে।

মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন পঞ্চগড় প্রেসক্লাবের সাংবাদিক এ রহমান মুকুল, সাধারণ সম্পাদক সফিকুল আলম, পঞ্চগড় জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আনিছ প্রধান, সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজালাল, সাংবাদিক শহীদুল ইসলাম শহীদ, মোশাররফ হোসেন, মো. লুৎফর রহমান, মো. নজরুল ইসলাম, রাশেদুজ্জামান বাবু প্রমুখ।

মানববন্ধনে একাত্মতা পোষণ করে বক্তব্য দেন দেবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ স ম নুরুজ্জামান, সিনিয়র সহসভাপতি মো. গিয়াসউদ্দিন চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক জাকিরুল ইসলাম সুইডেন, যুবলীগের সভাপতি সংগ্রাম প্রধান, ছাত্রলীগের সভাপতি আশরাফুল আলম ইমুসহ কৃষক লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতারা।

মানববন্ধন শেষে সাংবাদিকরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যান। সেখানে ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) অতীন কুমার কুণ্ডুর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।

মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে জেলার সকল গণমাধ্যমকর্মীসহ দেবীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ছাড়া সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেন।

মানববন্ধনে বক্তারা দেবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাসনাৎ জামান চৌধুরী জজের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে প্রশাসনিক ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণসহ অভিযুক্ত যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দলীয় ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। এ ছাড়া আগামী দিনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের ইতিবাচক সংবাদ পরিবেশন থেকে বিরতসহ সাংবাদিকদের নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা দেন।

গত ২৭ নভেম্বর দেবীগঞ্জ পৌর কার্যালয়ে খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফিরুজুল ইসলাম, পৌর কাউন্সিলর ও এনটিভির স্টাফ করেসপনডেন্ট সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদসহ জেলার ছয়জন সাংবাদিক উপজেলা চেয়ারম্যান হাসনাৎ জামান চৌধুরীর অনুসারী যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হাতে হামলার শিকার হন।