শিক্ষক শফিকুল হত্যাকাণ্ডে নয় মাসেও গ্রেপ্তার নেই
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম লিলন হত্যাকাণ্ডের পর প্রায় নয় মাস পার হয়ে গেলেও এখনো দায়ী কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
মামলার দৃশ্যত কোনো উন্নতিও এখন পর্যন্ত চোখে পড়েনি। বরাবরের মতোই তদন্ত কর্মকর্তা বলছেন, জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে কাজ করছেন তাঁরা। তবে কাউকেই চিহ্নিত বা গ্রেপ্তার করতে পারেননি তাঁরা।
আজ শনিবার দুপুরে ড. শফিকুল হত্যার দ্রুত বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ফয়জার রহমান বলেন, ‘গত বছর ১৫ নভেম্বর অধ্যাপক লিলনকে হত্যা করা হয়। এর আগেও দুজন শিক্ষককে এভাবে হত্যা করা হয়েছিল। কিন্তু হত্যাকারীদের কারো আজও কোনো বিচার হয়নি।’
অধ্যাপক ফয়জার রহমান আরো বলেন, পুলিশের সঙ্গে এ হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে কথা বলা হলে তারা জানায়, তদন্ত চলছে। কিন্তু হত্যার এতদিন পরেও সেই তদন্তের কোনো ফল পাওয়া যাচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে এ হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার ও অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে এ মামলার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘মামলার তদন্ত চলছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তবে দ্রুত জড়িতদের আইনের আওতায় আনার কাজ চলছে।’
আজকের মানববন্ধনে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ওয়ারদাতুল আকমামসহ আরো উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান, অধ্যাপক ড. সুলতানা মোসতাফা খানম, অধ্যাপক ড. বিজয় কৃষ্ণ বণিক, সহযোগী অধ্যাপক এস এম ইমতিয়াজ, সহকারী অধ্যাপক মুন্সী ইসরাইল হোসেন, সহকারী অধ্যাপক মো. সিরাজুল ইসলামসহ দুই-শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারী।
২০১৪ সালের ১৫ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পথে নগরীর চৌদ্দপায় এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে হত্যা করা হয় সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক শফিউল ইসলাম লিলনকে। এই মামলার তদন্তের ক্ষেত্রে বেরিয়ে আসতে থাকে পারিবারিক বিরোধ, পেশাগত ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রের দ্বন্দ্ব থেকে শুরু করে উগ্রপন্থীদের সংশ্লিষ্টতা। কিন্তু এরপরেও প্রকৃত দোষীরা ধরাছোঁয়ার বাইরেই রয়ে গেছে। পরবর্তী সময়ে তদন্তে তেমন কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় নগরীর মতিহার থানা থেকে মামলাটি গোয়েন্দা পুলিশের হাতে হস্তান্তর করা হয়।