রাঙামাটিতে আওয়ামী লীগের দুই নেতাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ১৪ জন গ্রেপ্তার

Looks like you've blocked notifications!
রাঙামাটিতে আওয়ামী লীগের দুই নেতাকে হত্যাচেষ্টা পৃথক দুটি মামলায় বিলাইছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শুভমঙ্গল চাকমাসহ ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে এঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। ছবি : এনটিভি

রাঙামাটিতে আওয়ামী লীগের দুই নেতাকে হত্যাচেষ্টার পৃথক দুই মামলায়  বিলাইছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শুভমঙ্গল চাকমাসহ ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে এঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গত ৫ ডিসেম্বর রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রাসেল মারমাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলার আসামি বিলাইছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির উপজেলা কমিটির সভাপতি শুভমঙ্গল চাকমাসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকালে রাঙামাটি শহরের আসামবস্তি এলাকা থেকে শুভমঙ্গল চাকমাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাকিদের বিলাইছড়ি উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আটক করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ সত্যজিৎ বড়ুয়া।

আটক ব্যক্তিরা হলেন বুদ্ধিবিজয় তঞ্চঙ্গ্যা (২১), সুমন চাকমা  (২৬), সুনীল কান্তি চাকমা (৪০), চন্দ্র বাবু তঞ্চঙ্গ্যা (৩৫), বীরময় চাকমা (৩৫) ও সমর বিজয় চাকমা (২৯)।

এদিকে ৭ ডিসেম্বর শহরের ভালেদী আদাম এলাকায় মহিলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ঝর্ণা খীসাকে নিজ বাসায় কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় আরেকটি  মামলার সাত আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এঁরা হলেন রিটন চাকমা (২৯), বাবু চাকমা (২৭), মঙ্গলমনি চাকমা (২৬), সাধন চাকমা (২৮), রিকন চাকমা (২৮), ফালনজিৎ চাকমা (২২) ও রূপম চাকমা (২৪)।

দুটি ঘটনায় দায়ের করা পৃথক পৃথক মামলায় এঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাঁদের আদালতে হাজির করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

রাসেল মার্মা হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আহত রাসেল মার্মা বাদী হয়ে বিলাইছড়ি থানায় উপজেলা চেয়ারম্যান ও জনসংহতি সমিতির উপজেলা সভাপতি শুভমঙ্গল চাকমাসহ ৩১ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

অপরদিকে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ঝর্ণা খীসাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ঝর্ণা খীসা বাদী হয়ে রাঙামাটির কোতোয়ালি থানায় পৃথক আরেকটি মামলায় ২১ জনকে আসামি করেন।

দুটি মামলার ৫২ জন আসামির মধ্যে প্রথম দিনেই ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। তবে জুরাছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অরবিন্দ চাকমা হত্যার ঘটনায় এখনো কাউকে আটক বা গ্রেপ্তারের খবর পাওয়া যায়নি।

গত মঙ্গলবার জুরাছড়িতে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অরবিন্দ চাকমাকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। একই সময়ে বিলাইছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রাসেল মার্মাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। একদিন পরেই বুধবার রাঙামাটি শহরেই জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ঝর্ণা খীসাকে নিজ বাসায় কুপিয়ে মারাত্মক জখম করা হয়। তিনটি ঘটনার জন্যই আওয়ামী লীগ আঞ্চলিক দল জনসংহতি সমিতিকে দায়ী করছে। যদিও জনসংহতি সমিতি এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

এসব হামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার রাঙামাটি জেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করেছে রাঙামাটি জেলা যুবলীগ।