তথ্যমন্ত্রী বললেন

এটি খোলা চ্যালেঞ্জ, বিএনপি ভুল প্রমাণ করতে পারবে না

Looks like you've blocked notifications!
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন। ছবি : পিআইডি

বিএনপিকে বর্জন করার আহ্বান জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, বিএনপিই একাত্তর-পঁচাত্তর-একুশে আগস্টের খুনি ও আগুনসন্ত্রাসীদের আস্তানা। এটি খোলা চ্যালেঞ্জ, যা কখনই বিএনপি ভুল প্রমাণ করতে পারবে না। সে কারণেই জামায়াত-জঙ্গি-রাজাকাররা যদি খারাপ হয় তবে তাদের মদদদাতা ও সঙ্গীরাও ভালো নয় এবং বর্জনযোগ্য।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

হাসানুল হক ইনু মওলানা ভাসানীর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ভাসানীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গি-সন্ত্রাসের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কোনো আপস নয়।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে-বিদেশে খালেদা জিয়ার আরো দুর্নীতি খোঁজা চলবে। কিন্তু তার আগে তাঁকে জবাব দিতে হবে, জরিমানা দিয়ে কালো টাকা সাদা করলেন কেন, তাঁর পুত্রের পাচার করা ২০ কোটি টাকাই বা ফেরত এলো কীভাবে! শুধু নির্লজ্জ সাফাই গাইলেই হবে না, প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে।’

বিএনএফের সভাপতি ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য এম আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. হুমায়ূন কবির।

এর আগে তথ্যমন্ত্রী সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তথ্যসচিব মরতুজা আহমদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, জঙ্গিমুক্ত বাংলাদেশকে মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক রাখতে সংস্কৃতিকর্মীরাই সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখবে। দেশের জন্য রাজনীতিক ও সংস্কৃতিকর্মীরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলবে।

হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘সত্তরের দশকে জিয়াউর রহমান যে সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষ রোপণ করেছিলেন এবং বিএনপি ও খালেদা জিয়া যার ধারক, সেই বিষবৃক্ষ ধ্বংস করে জঙ্গিবাদমুক্ত শান্তি, দুর্নীতি-দলবাজিমুক্ত সুশাসন ও বৈষম্যহীন সমৃদ্ধির বাংলাদেশ গড়ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ কারণেই মহাজোট সরকার কোনো রুটিন সরকার নয়, জাতিকে নিজের পথে ফিরিয়ে আনার সরকার। এখানে রাজনীতিক-শিল্পী-সাহিত্যিক-সংস্কৃতিকর্মী সবাইকে একজোট হয়ে কাজ করতে হবে।’