সৌদি আরবে নিহত আজাদের পরিবারে শোকের মাতম
সৌদি আরবের আবাহ ক্যান্টনমেন্ট মসজিদে নামাজ আদায়কালে ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিদের আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত আফাজ উদ্দিন আজাদের লক্ষ্মীপুরের গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে আফাজের পরিবার এখন দিশেহারা।
গতকাল রোববার আজাদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, শোকে কাতর তাঁর বৃদ্ধ মা-বাবা। স্বজনদের আহাজারিতে পুরো এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। আগত সন্তানের ভবিষ্যৎ চিন্তায় আজাদের স্ত্রী বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন।
স্বজন ও স্থানীয়রা জানায়, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরভূতা গ্রামের হতদরিদ্র নূরনবীর ছেলে আজাদ। পরিবারের সচ্ছলতার আশায় জমি বিক্রি করে আট বছর আগে সৌদি আরব পাড়ি জমান তিনি। সৌদি আরবের আসির প্রদেশের আবাহ ক্যান্টনমেন্টে বাবুর্চির কাজ করতেন আজাদ।
নয় মাস আগে ছুটিতে বাড়ি এসে আজাদ পার্শ্ববর্তী চরমনসা গ্রামের নুরুল ইসলামের মেয়ে নূরজাহান আঁখির সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। পাঁচ মাস দেশে থাকার পর চার মাস আগে তিনি আবার বিদেশ যান। আজাদের স্ত্রী নূরজাহান আঁখি এখন ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
গত বৃহস্পতিবার কাজের ফাঁকে জোহরের নামাজ আদায় করতে ক্যান্টনমেন্ট মসজিদে যান আজাদ। এ সময় আইএস জঙ্গিরা ওই মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালায়। এতে আজাদসহ চার বাংলাদেশি নিহত হন।
এ সংবাদ পরদিন শুক্রবার এক সহকর্মী ফোনে আজাদের ভাই মোসলেহ উদ্দিনকে জানালে পরিবারে নেমে আসে শোকের ছায়া।
পাঁচ ভাই আর এক বোনের মধ্যে আজাদ ছিলেন তৃতীয়। তাঁর পাঠানো টাকায় চলত পরিবারটি। এখন পরিবার কীভাবে চলবে—এ চিন্তায় অস্থির সদস্যরা। তাঁদের দাবি, দ্রুত আজাদের মরদেহ দেশে আনার ব্যবস্থা করা হোক। এ জন্য তাঁরা সরকারসহ সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা কামনা করেন।