শাহজালালে তৃতীয় টার্মিনালের কাজ শুরু ডিসেম্বরে
বাড়তি ফ্লাইটের চাপ সামাল দিতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগামী ডিসেম্বরে তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণের কাজ শুরু হচ্ছে। এ ছাড়া চীনের কুনমিং, গুয়াংজু আর শ্রীলঙ্কার কলম্বো রুটে ফ্লাইট চালু করার পাশাপাশি বাংলাদেশ বিমানের বহরে যুক্ত হচ্ছে দুটি নতুন বোয়িং।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) করা সমীক্ষা অনুযায়ী, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২০১২ সালে বিমানের মোট উড্ডয়ন ও অবতরণের সংখ্যা ছিল ২৫ হাজার। ২০১৪ সালে গিয়ে যা দাঁড়ায় ৩০ হাজারে। ক্রমবর্ধমান হারে এই সংখ্যা ২০২০ সালে ৪২ হাজার এবং ২০২৫ সালে ৫৭ হাজার হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সমীক্ষায় আরো উঠে আসে, বর্তমানে বিমানবন্দরে যাত্রী ধারণক্ষমতা ৬৭ লাখ। ২০১৮ সাল নাগাদ সেই ধারণ ক্ষমতা হতে হবে অন্তত এক কোটি। আর মাত্র দুটি টার্মিনাল দিয়ে তা সামাল দেওয়া যাবে না। এই বাস্তবতায় শুরু হচ্ছে তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণের কাজ।
বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম সানাউল হক বলেন, ‘ইনচিয়ন এয়ারপোর্ট কোরিয়াতে। যেটা বর্তমানে পৃথিবীতে নাম্বার ওয়ান এয়ারপোর্ট হিসেবে স্বীকৃত, পুরস্কৃত। সেই এয়ারপোর্ট যারা ডিজাইন করেছেন, আমাদের এ থার্ড টার্মিনাল ওনারাই ডিজাইন করেছেন। এ মুহূর্তে আমাদের ৮টার মতো বোর্ডিং ব্রিজ আছে, এ নতুন টার্মিনাল হয়ে গেলে আমাদের ৩২টা বোর্ডিং ব্রিজ হবে। এতে এভিয়েশনের কলেবর শুধু ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেই প্রায় পাঁচগুণ হয়ে যাবে, এখন যা আছে তার আরো চারগুণ বৃদ্ধি পাবে। বছর শেষে আমরা ঠিকাদারকে দিয়ে দেব।’
এ মুহূর্তে ৩০টি যাত্রীবাহী এয়ারলাইন্স চলাচল করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে। এর সঙ্গে নতুন আরো তিনটি রুট যুক্ত হতে যাচ্ছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের চেয়ারম্যান এয়ার মার্শাল (অব.) জামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘কুনমিং, গুয়াংজু, কলম্বো, মালে আমাদের পরিকল্পনার মধ্যে আছে। বর্তমানে আমাদের দুটো আছে ইজারায় ৭৩৭ (উড়োজাহাজ), আরো দুটি আসবে বোয়িং থেকে। তারপরও আমরা একটি কিংবা দুটি ৭৩৭ ইজারা নিয়ে আমরা ফ্লাইটের সংখ্যা বাড়াব।’
সেই সঙ্গে বিমান চেয়ারম্যান জানান, ২০১৩-১৪ সালে যেখানে বিমানের ক্ষতি ছিল ১৯৮ কোটি টাকা সেখানে গত অর্থবছরে বিমান লাভ করেছে ২৩৩ কোটি টাকা। এই ধারা বজায় রাখতে ব্যবস্থাপনায় বিদেশিদের নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে বিমান।
জামাল উদ্দিন বলেন, ‘আমরা পেশাদার লোক খুঁজছি। যারা দক্ষ, পেশাদার দেশি-বিদেশি যারাই শর্ত পূরণ করবে, তাদের নিয়োগ দেওয়া হবে।’
বিমানে শ্রমিক সংগঠনের (সিবিএ) কারণে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ে অনিয়ম সম্পূর্ণ দূর করা যাচ্ছে না বলেও জানান বিমান চেয়ারম্যান।