ছাত্রলীগের দুপক্ষে সংঘর্ষের পর কুমিল্লা মেডিকেল বন্ধ

Looks like you've blocked notifications!
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গতকাল গভীর রাতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের পর কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। ছবি : এনটিভি

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের পর কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। 

গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতের এ সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে। 
 
কর্তৃপক্ষের কলেজ বন্ধের ঘোষণার পর আজ শুক্রবার ভোররাত থেকেই হল ছাড়তে শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা। ঘটনা তদন্তে সাত সদস্যের একটি গঠন করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। কমিটির সদস্যদের আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। 

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. জাহাঙ্গীর হোসেন ভুঁইয়া গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কয়েক বছর ধরে নতুন শিক্ষার্থীদের বরণ করাকে কেন্দ্র করে আধিপত্য বিস্তারের ব্যাপারটি চলে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল রাতে এই ঘটনা ঘটে।’

‘এর জের ধরে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এরই মধ্যে শিক্ষার্থীরা হল ত্যাগ করেছে,’ যোগ করেন উপাধ্যক্ষ। 

আশঙ্কাজনক অবস্থায় ২৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তৌফিক ও ইরফানুলককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে এনটিভি অনলাইনকে আজ শুক্রবার দুপুরে জানিয়েছেন কলেজের সহযোগী অধ্যাপক নাজমুল হাসান চৌধুরী। 

শিক্ষার্থীরা জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ নেতা আবদুল হান্নান ও পলাশের সমর্থকদের মধ্যে বিবাদ হয়। এর পর গভীর রাতে কলেজের বীরউত্তম ছাত্রাবাস এবং শেখ রাসেল ছাত্রাবাসের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।