আজ আখেরি মোনাজাত, হবে বাংলায়

Looks like you've blocked notifications!
বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ রোববার। শনিবার রাতে ইজতেমা ময়দানের একাংশের দৃশ্য। ছবি : ফোকাস বাংলা

ভারতের মাওলানা মোহাম্মদ সাদ কান্ধলভিকে ছাড়াই এবারের বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ রোববার। তাঁকে নিয়ে বিতর্ক ওঠার পর মাওলানা সাদ বাংলাদেশে এলেও টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমায় অংশ না নিয়েই শনিবার ফিরে গেছেন।

মাওলানা সাদ কয়েক বছর ধরে ইজতেমায় আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করলেও এবার তাঁর পরিবর্তে বাংলাদেশের কাকরাইল মসজিদের ইমাম হজরত মাওলানা যোবায়ের হাসান বাংলা ভাষায় আজ আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন বলে ইজতেমা সূত্রে জানা গেছে। বেলা ১১টার দিকে আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন ইজতেমার শীর্ষস্থানীয় মুরুব্বিরা।

এদিকে নানা বিতর্কের অবসান ঘটাতে মাওলানা সাদ এবারের বিশ্ব ইজতেমায় অংশ না নিয়ে ফিরে যাওয়ায় তাঁর অনুপস্থিতি স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে পারছেন না তাঁর অনুসারীরা। তাই অর্ধশতাধিক বিদেশি মুসল্লি ইজতেমার প্রথম পর্ব সম্পন্ন হওয়ার আগেই ময়দান থেকে চলে গেছেন। আগামী বছর বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে ১১ জানুয়ারি থেকে।

এদিকে দেশ-বিদেশের লাখ লাখ মুসল্লির পদচারণায় কহর দরিয়াখ্যাত টঙ্গীর তুরাগ পাড়ের বিশ্ব ইজতেমাস্থল এখন মুখর। শিল্প নগরী টঙ্গী এখন যেন ধর্মীয় নগরীতে পরিণত হয়েছে। এবারের ইজতেমার প্রথম পর্বের দ্বিতীয় দিন শনিবার আল্লাহ প্রদত্ত বিধি-বিধান ও মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) প্রদর্শিত তরিকা অনুযায়ী জীবন গড়ার আহ্বান জানিয়ে দেশ-বিদেশের লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লি জিকির-আসকার, ইবাদত বন্দেগী আর ধর্মীয় ভাবগম্ভীর পরিবেশে পবিত্র কোরআনের আলোকে গুরুত্বপূর্ণ বয়ানের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত করেছে।

আজ রোববার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জমায়েত এবারের ৫৩তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাবলিগ জামাতের শীর্ষস্থানীয় মুরুব্বি বাংলাদেশের কাকরাইল মসজিদের ইমাম হযরত মাওলানা যোবায়ের হাসান আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন বলে জানিয়েছে আয়োজক কমিটি। ইজতেমা ময়দানে বিদেশি নিবাসের পূর্বপাশে বিশেষভাবে স্থাপিত মঞ্চ থেকে এ মোনাজাত পরিচালনা করা হবে। এর আগে অনুষ্ঠিত হবে হেদায়েতি বয়ান। এরপর চারদিন বিরতি দিয়ে আগামী শুক্রবার শুরু হবে তিন দিনের বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। আখেরি মোনাজাতে মুসল্লিদের আসা ও যাওয়া নিরাপদ করতে শনিবার দিবাগত রাত থেকে মোনাজাত অনুষ্ঠান পর্যন্ত ইজতেমা ময়দানগামী সড়কে যানবাহন চলাচলে বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে পুলিশ। এদিকে এবারও বিশ্ব ইজতেমার অন্যতম আকর্ষণ যৌতুকবিহীন বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়নি।

এদিকে এবারও তাবলিগের শীর্ষস্থানীয় মুরুব্বিরা রেডিও-টিভিতে আখেরি মোনাজাত সরাসরি সম্প্রচারে অনুমতি দেননি। মুরুব্বিদের ছবি তুলতেও বারণ করে দিয়েছে ইজতেমা কর্তৃপক্ষ। তারপরও কিছু কিছু বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ইজতেমা কর্তৃপক্ষের অজ্ঞাতে আখেরি মোনাজাত সম্প্রচার করার উদ্যোগ নিয়েছে।

ফেরত গেছেন সাদ, মোনাজাত করবেন যোবায়ের

তাবলিগ জামাতের বিশ্ব আমির ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধলভি  বুধবার বাংলাদেশে এলেও তাঁকে নিয়ে বিতর্ক ওঠায় তিনি টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমায় অংশ না নিয়েই শনিবার দুপুরে জেট এয়ারওয়েজের একটি বিমানে বাংলাদেশ থেকে  ফিরে গেছেন। ভারতের মাওলানা জোবায়রুল হাসান মারা যাওয়ার পর তিনিই (মাওলানা সাদ) বিশ্ব ইজতেমার হাল ধরেছিলেন। বিশ্ব ইজতেমায় উর্দুতে বয়ান করা ছাড়াও তিনি একই ভাষায় আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করতেন। কিন্তু এবার আখেরি মোনাজাত ও হেদায়েতি বয়ান দুটিই হবে বাংলায়। শুক্রবার রাতে কাকরাইল মসজিদে তাবলিগ মুরুব্বিদের এক পরামর্শ সভায় আখেরি মোনাজাত পরিচালনাকারীর বিষয়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

জানা গেছে, প্রায় ১০০ বছর আগে ইসলামের দাওয়াতি কাজকে ত্বরান্বিত করতে মাওলানা ইলিয়াছ শাহ (রহ.) দিল্লীর নিজামুদ্দিন মসজিদ থেকে তাবলিগের কাজ শুরু করেন। মাওলানা ইলিয়াছের (রহ.) ছেলে মাওলানা হারুন (রহ.)। তাঁরই ছেলে হলেন মাওলানা সাদ কান্ধলভী। ২০১৫ সাল থেকে মাওলানা সাদ আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করে আসছেন। এর আগে তিনি টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে শুধু তাবলিগের বয়ান দিতেন।

বিশ্ব ইজতেমা আগামী বছর শুরু হবে ১১ জানুয়ারি

আগামী বছর বিশ্ব ইজতেমা ১১ জানুয়ারি থেকে অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার রাতে কাকরাইল মসজিদে তাবলিগ মুরুব্বিদের এক পরামর্শ সভায় ওই তারিখ নির্ধারণ করা হয়।

বিশ্ব ইজতেমার মুরুব্বি মো. গিয়াস উদ্দিন জানান, তাবলিগ জামাতের শীর্ষ মুরুব্বিদের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব ১১, ১২ ও ১৩ জানুয়ারি এবং চারদিন বিরতি দিয়ে দ্বিতীয় পর্ব ১৮, ১৯ ও ২০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।

বিদেশি অর্ধশতাধিক মুসল্লি ফিরে গেছেন

নানা বিতর্কের অবসান ঘটাতে মাওলানা সাদ এবারের বিশ্ব ইজতেমায় অংশ না নিয়ে ফিরে যাওয়ায় তাঁর অনুপস্থিতি স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে পারছেন না তাঁর অনুসারীরা। তাই এবারের বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দিতে আসা ৫৮ জন বিদেশি মুসল্লি ইজতেমার প্রথম পর্ব সম্পন্ন হওয়ার আগেই ময়দান থেকে চলে গেছেন বলে জানিয়েছেন একাধিক মুসল্লি।

গাজীপুর পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মোমিনুল ইসলাম জানান, শনিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বের ১৯টি দেশের ৪ হাজার ৫৩১ জন বিদেশি নাগরিক টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে এসে যোগ দেন। এদের মধ্যে শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের ১১ জন, মালয়েশিয়ার ১৫ জন ও ইন্দোনেশিয়ার ১২ জন মুসল্লি এবং শনিবার ইন্দোনেশিয়ার আরো ২০ জন মুসল্লি টঙ্গীর ইজতেমা ময়দান থেকে ফিরে গেছেন। তবে তারা কেন চলে গেছেন তা জানা যায়নি।

শনিবার যারা বয়ান করলেন

নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের দ্বিতীয় দিন শনিবার মুসল্লিদের উদ্দেশে বাদ ফজর বয়ান করেন কুয়েতের মুরুব্বি ইব্রাহিম রেফা। তাঁর বয়ান বাংলায় তর্জমা করেন বাংলাদেশের মাওলানা নুরুর রহমান। এরপর সকাল সাড়ে ১০টা থেকে জোহরের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশের কাকরাইলের মাওলানা হাফেজ জোবায়ের। এছাড়াও বাদ জোহর সুদানের মাওলানা ড. জাহাদ, বাদ আসর বাংলাদেশের নূরুর রহমান ও বাদ মাগরিব মাওলানা ফারুক হোসেন বয়ান করেন। দেশ-বিদেশের লাখ লাখ মুসল্লি ইজতেমা ময়দানে অবস্থান করে ফজিলতপূর্ণ এ বয়ান শুনেন।

যা বয়ান করলেন

তাবলিগ জামাতের মুরুব্বিরা ইজতেমার সুবিশাল ময়দানে সমবেত দেশ-বিদেশের লাখ লাখ মুসল্লির উদ্দেশে তাবলিগের ছয় উসুল যথা কালিমা, নামাজ, ইলম ও জিকির, ইকরামুল মুসলিমিন, তাসহিয়ে নিয়ত এবং তাবলিগ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ বয়ান করেন। বয়ানে তাবলিগের মুরব্বিরা বলেন, যতদিন দ্বীন থাকবে, তত দিন দুনিয়া থাকবে। আর দ্বীন টিকে থাকবে দাওয়াতের মাধ্যমে। যুগে যুগে নবী-রাসুলগণ দ্বীনের দাওয়াতের কাজ করে গেছেন। ফেরাউনের কাছেও দ্বীনের দাওয়াত পৌঁছে দিতে আল্লাহ্ হজরত মুসা (আ.) কে পাঠিয়েছিলেন। আল্লাহ যাল্লে জালালুহু নবী-রাসুলদের তাদের নিজের পরিবার ও বিভিন্ন গোত্রের মানুষের কাছে দ্বীনের দাওয়াত দেওয়ার জন্য পাঠিয়েছেন। আখেরি নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে সারা দুনিয়ায় দ্বীনের দাওয়াত দেওয়ার জন্য পাঠিয়েছিলেন। আজ তিনি নেই। এ কাজের জিম্মাদারী এখন তাঁর উম্মতের ওপর।

বয়ানের তাৎক্ষণিক অনুবাদ

বিশ্ব ইজতেমায় বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের তাবলিগ মারকাজের ১৫-২০ জন শুরা সদস্য ও বুজর্গ বয়ান পেশ করেন। মূল বয়ান উর্দুতে হলেও বাংলা, ইংরেজি, আরবি, তামিল, মালয়, তুর্কি ও ফরাসি ভাষায় তাৎক্ষণিক অনুবাদ হচ্ছে। বিভিন্ন ভাষাভাষি মুসল্লিরা আলাদা আলাদা বসেন এবং তাদের মধ্যে একজন করে মুরুব্বি মূল বয়ানকে তাৎক্ষণিক অনুবাদ করে শুনান। মূল বক্তা বয়ানের একটি নির্দিষ্ট অংশ শেষ করার পর অনুবাদের জন্য বিরতি দেন। অনুবাদ শেষ হলে তিনি আবার বয়ান শুরু করে। এভাবেই ইজতেমা ময়দানে তাবলিগ জামাতের মুরব্বিদের বয়ান চলে।

তাশকিলের কামরায় চিল্লাভুক্ত মুসল্লি

ইজতেমার প্যান্ডেলের উত্তর-পশ্চিমে তাশকিলের কামরা স্থাপন করা হয়েছে। বিভিন্ন খিত্তা থেকে বিভিন্ন মেয়াদে চিল্লায় অংশগ্রহণেচ্ছু মুসল্লিদের এ কামরায় আনা হচ্ছে এবং তালিকাভুক্ত করা হচ্ছে। পরে কাকরাইলের মসজিদের তাবলিগের মুরুব্বিদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এলাকা ভাগ করে তাদের দেশের বিভিন্ন এলাকায় দীনের দাওয়াতের কাজে পাঠানো হবে।

বিশ্ব ইজতেমার আয়োজক কমিটির সদস্য প্রকৌশলী মো. গিয়াস উদ্দিন জানান, তাবলিগের একমাত্র কাজই আল্লাহর পথে মানুষকে ডাকা। রাসূল (সা.)-এর বিদায় হজের ভাষণের মূল বাণী হিসেবে আমরা আল্লাহর পথে ডেকে থাকি। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনই এর একমাত্র লক্ষ্য। একমাত্র আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিনের একক আনুকূল্যে এই ইজতেমা হয়ে থাকে। টঙ্গীর এই ইজতেমা থেকেই বিশ্বের অন্তত ১৫০টি দেশে দাওয়াতের এই কাজ করা হয়। প্রতি বছর টঙ্গী ইজতেমা থেকেই পাঁচ থেকে ছয় হাজার জামাত বিশ্বব্যাপী পাঠানো হয়। আগত বছরের বিশাল কর্মযজ্ঞের পরিকল্পনা টঙ্গী থেকেই হয়। তিনি সব মুসলমানদের কিছুটা সময় হলেও ইজতেমায় ব্যয় করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, এবারো প্রায় ছয় হাজার জামাত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তাবলিগের কাজে বেরিয়ে যাবে।

চিকিৎসা সেবা

গাজীপুর সিভিল সার্জন সৈয়দ মঞ্জুরুল হক জানান, গত কয়েকদিনের তুলনায় ইজতেমায় আগত রোগীর সংখ্যা শনিবার বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সিভিল সার্জনের নিয়ন্ত্রণাধীন স্বাস্থ্য ক্যাম্পগুলোতে পাঁচ হাজারের বেশি মুসল্লিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। প্রচণ্ড শীতের কারণে সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন মেডিকেল ক্যাম্পের প্রতিটিতেই রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। এর মধ্যে সকাল পর্যন্ত ২৩ জনকে টঙ্গী সরকারি হাসপাতলে ভর্তি এবং ১৭ জন মুসল্লিকে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।

ইজতেমার চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা চিকিৎসকরা জানান, এসব মুসল্লিদের অধিকাংশই হৃদরোগ, অ্যাজমা, পেটেরপীড়া ও ঠান্ডায় আক্রান্ত হন। এছাড়া ইজতেমাস্থলের আশে-পাশের বিনামূল্যে বিভিন্ন চিকিৎসাকেন্দ্র গুলোতেও কয়েক হাজার মুসল্লি প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

হকার ও পকেটমার আটক

বিশ্ব ইজতেমা ও আশপাশের এলাকা থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত প্রায় অর্ধশত হকার ও পকেটমারকে আটক করেছে পুলিশ ও র‌্যাবের সদস্যরা।

মোনাজাতের দিন চলবে শ্যাটল বাস

গাজীপুরের পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ জানান, শনিবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে রোববার আখেরি মোনাজাতের সময় পর্যন্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুর মহানগরের ভোগড়া বাইপাস মোড় থেকে কুড়িল বিশ্বরোড, আব্দুল্লাহপুর-কালিয়াকৈর সড়কে সাভারের বাইপাইল থেকে আব্দুল্লাহপুর ও টঙ্গীর স্টেশন রোড থেকে মীরের বাজার পর্যন্ত অ্যাম্বুলেন্স ও পুলিশের গাড়ি ছাড়া সাধারণ যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে আখেরি মোনাজাতের দিন রোববার সকাল থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ভোগড়া বাইপাস মোড় এলাকা থেকে ইজতেমাস্থল পর্যন্ত মুসল্লিদের সুবিধার্থে প্রায় অর্ধশত বিআরটিসি বাস ও ব্যক্তি মালিকানাধীন আরো প্রায় অর্ধশত (ইজতেমার স্টিকার লাগানো) শ্যাটল বাস চলাচল করবে।

বিশেষ ট্রেন

বিশ্ব এজতেমা উপলক্ষে বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষ থেকে আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে আখাউড়া, কুমিল্লা ও ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন রুটে প্রায় ২১টি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া আখেরি মোনাজাতের আগে ও পরে সব ট্রেন টঙ্গী স্টেশনে যাত্রা বিরতি করবে। টঙ্গী রেলওয়ে জংশন সূত্রে জানা গেছে, রোববার আখেরি মোনাজাতের দিন জামালপুর-টঙ্গী একটি, আখাউড়া-টঙ্গী একটি, টঙ্গী-ময়মনসিংহ, লাকসাম-টঙ্গী রুটে বিশেষ ট্রেন যাতায়াত করবে। এছাড়াও আখেরি মোনাজাতের আগে-পরে সব ট্রেন টঙ্গী স্টেশনে যাত্রা বিরতি করবে বলে জানিয়েছেন টঙ্গীর রেলওয়ে স্টেশনের কর্মকর্তা।

ঢাকা বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক মো. গাউস আল মুনির জানান, বিশ্ব ইজতেমা চলাকালে বিশেষ ট্রেন চালু হয়েছে। প্রতিটি ট্রেন টঙ্গী রেলওয়ে জংশনে দুই মিনিট করে যাত্রা বিরতি করবে।