ট্রেনের ধাক্কায় আহত চার পুলিশকে ঢাকায় স্থানান্তর
নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার ঢেলাপীর লেভেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় আহত সাত পুলিশ সদস্যের মধ্যে চারজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
আজ শনিবার দুপুরে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতাল থেকে সৈয়দপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হোসেন, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আব্দুল আজিজ, কনস্টেবল সাদ্দাম হোসেন ও কনস্টেবল রিপন চন্দ্র চৌধুরীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) জাকির হোসেন খান এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এ দুর্ঘটনায় আহত সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন, গাড়িচালক কনস্টেবল মোকছেদ আলী, কনস্টেবল কবির হোসেন রমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গতকাল শুক্রবার রাত ১১টার দিকে টহল শেষে সৈয়দপুরের বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের পোড়ারহাট থেকে সৈয়দপুর শহরে ফেরার পথে ঢেলাপীর লেভেলক্রসিং অতিক্রমকালে ঢাকাগামী আন্তনগর নীলসাগর এক্সপ্রেসের ধাক্কায় পিকআপ ভ্যানটি ১০০ ফুট দূরে ১০ ফুট গভীর একটি খালে পড়ে গিয়ে দুমড়েমুচড়ে যায়।
এ দুর্ঘটনায় সৈয়দপুর থানার কনস্টেবল শামসুল হক ঘটনাস্থলে এবং রমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতেই মাইদুল ইসলাম ও শরিফুল ইসলাম এবং শনিবার ভোরে ফারুক হোসেন মারা যান।
দুপুরে নীলফামারী পুলিশ লাইনসে নিহত চার পুলিশ সদস্যের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাসহ জেলার বিভিন্ন স্তরের সরকারি কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক ব্যক্তিরা অংশ নেন।
জানাজা শেষে কনস্টেবল শামসুল হকের লাশ তাঁর গ্রামের বাড়ি দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার পাওয়ার হাজি কলোনি গ্রামে, কনস্টেবল মাইদুল ইসলামের লাশ কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার নেওয়াশী হাতির ভিটা গ্রামে, কনস্টেবল শরিফুল ইসলামের লাশ দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার আব্দুলপুর গ্রামে ও কনস্টেবল ফারুক হোসেনের লাশ বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলা বীরপাশা গ্রামে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। নিজ নিজ গ্রামে তাঁদের দাফন সম্পন্ন হবে।
এ জন্য নীলফামারী পুলিশের পক্ষে সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়েছে। এ ছাড়া দুর্ঘটনার বিষয়টি তদন্ত করে দেখতে কমিটি গঠন করা হবে বলে জানান পুলিশ সুপার জাকির হোসেন খান। দুর্ঘটনার বিষয়ে তিনি জানান, অরক্ষিত রেলগেটে গেটম্যান না থাকায় এবং লেভেলক্রসিংয়ের আগে বাঁক থাকায় কিছু বুঝে ওঠার আগেই দুর্ঘটনটি ঘটেছে।
নীলফামারী জেলায় ৬৫ কিলোমিটার রেলপথে প্রায় শতাধিক লেভেলক্রসিং অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে। এতে সাধারণ মানুষজনসহ যানবাহনকে প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে লেবেলক্রসিং পারাপার হতে হয়।