এবার চুল ও ভ্রু কেটে শিশু নির্যাতন

Looks like you've blocked notifications!
নির্যাতনের শিকার শিশু শাহাদ। ছবি: এনটিভি

শিশু নির্যাতন যেন থামছেই না। সারাদেশ যখন শিশু নির্যাতনের অব্যহত ঘটনা নিয়ে প্রতিবাদে তোলপাড় তখন জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে আবার ঘটেছে এ ধরণের ঘটনা। হোটেলে কাজ করতে রাজি না হওয়ায় সাহাদ আলী নামে ১০ বছরের এক শিশুর দুই চোখের ভ্রু ও মাথার চুল বিকৃত করে কেটে মারধোর করার অভিযোগ উঠেছে এক হোটেল মালিকের বিরুদ্ধে। শনিবার রাত আটটার দিকে ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত হোটেল মালিক, এক কর্মচারী ও সেলুন মালিককে আটক করেছে পুলিশ।

শিশু সাহাদের বাবা সহর আলী এনটিভি অনলাইনকে জানান, আক্কেলপুর তুলসীগঙ্গা নদীর পাড়ে চকিদার পাড়া এলাকার শহর রক্ষা বাঁধের উপর ঝুপড়িঘরে থাকেন তারা। অভাবের সংসার, তাই দুই মাস আগে ছেলে সাহাদকে আক্কেলপুর পৌর সদরের কলেজ মসজিদের পাশে মেগা হোটেল অ্যান্ড ও ফাস্ট ফুড নামের একটি হোটেলে কাজ করতে দেন তিনি।

সম্প্রতি সাহাদ ওই হোটেলের কাজ ছেড়ে পাশের খোকন হোটেলে কাজে যোগ দিলে ক্ষিপ্ত হয় মেগা হোটেলের মালিক আবদুল মতিন। শনিবার বিকালে হোটেলের কাজ সেরে ফেরার পথে সাহাদকে কৌশলে রাস্তা থেকে হোটেলের ভেতরে ডেকে নেন মতিন। এ কাজে তাকে সাহায্য করে রুবেল নামে মেগা হোটেলের এক কর্মচারী। পরে ওই রুবেলসহ সাহাদকে ধরে মারধোর করার পর হোটেলের পাশের সুমনের সেলুনে নিয়ে জোর করে দুই চোখের ভ্রু ও মাথার চুল বিকৃত করে কাটিয়ে দেয় তারা।

ওই অবস্থায় সাহাদ কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে ফিরে গিয়ে নির্যাতনের বিষয়টি অভিভাবকদের খুলে বলে। সব শুনে তার অভিভাবক, আত্মীয়-স্বজন ও এলাকাবাসী ওই হোটেলের সামনে গিয়ে ঘটনার প্রতিবাদ জানায়। এরপর রাত নয়টার দিকে ঘটনাটি থানায় জানানো হলে পুলিশ গিয়ে মেগা হোটেলের মালিক আব্দুল মতিন, কর্মচারী রুবেল ও সেলুন মালিক সুমনকে আটক করে।

এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট তিন জনকে আটকের কথা স্বীকার করে আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলাম জানান, শিশু নির্যাতনের ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এই ঘটনায় এখনও কোন মামলা হয়নি বলে জানান তিনি।