কিশোরগঞ্জে স্কুলছাত্র প্রান্ত হত্যার বিচার দাবিতে মশাল মিছিল
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/08/17/photo-1439810055.jpg)
স্কুলছাত্র সাজ্জাদ হোসাইন প্রান্ত হত্যার সুষ্ঠু তদন্তসহ জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে মশাল মিছিল করেছে শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় এলাকাবাসী। পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে রোববার রাতে প্রান্ত স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে জেলা শহরের উকিলপাড়া এলাকা থেকে মশাল মিছিল শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহরের প্রাণকেন্দ্র গৌরাঙ্গ বাজার মোড়ে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করে মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা।
এ সময় প্রান্ত স্মৃতি সংসদের সদস্য সচিব মো. এস হোসেন আকাশের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফ আলী, ছাত্রদল নেতা রেদোয়ান রহমান ওয়াকিউর এবং নিহত প্রান্তর বড় ভাই মোশারফ হোসেন শান্ত।
বক্তারা ঘটনার দুই সপ্তাহ পার হলেও কোনো আসামি গ্রেপ্তার না হওয়া এবং ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন না দেওয়ায় তীব্র সমালোচনা করেন। এ নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে বলে তারা অভিযোগ করেন। সমাবেশ থেকে আগামী ১৯ আগস্ট কিশোরগঞ্জ শহরের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে পথসভার কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
সমাবেশের কারণে রাস্তায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে তাদের রাস্তার ওপর থেকে সরিয়ে দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
গত ২ আগস্ট রাত সাড়ে ৮টার দিকে শোলাকিয়া এলাকায় রেললাইনের ওপর প্রান্তর ক্ষত-বিক্ষত লাশ পাওয়া যায়। পরিবারের দাবি, প্রান্তকে পরিকল্পিতভাবে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে লাশ রেললাইনের ওপর ফেলে রাখা হয়।
নিহত সাজ্জাদ হোসাইন প্রান্ত কিশোরগঞ্জ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছিল। সে শহরের এলাকার ব্যবসায়ী এনামুল হক মুছা মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় এনামুল হক মুছা মিয়া বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে ছেলেকে হত্যার অভিযোগ এনে রেলওয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত আসামি আটক না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
এনামুল হক মুছা মিয়া বলেন, ‘আমার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমি ছেলে হত্যার বিচার চাই।’
কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুভাষ কান্তি পাল বলেন, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হবে। এজাহারে উল্লেখিত আসামিদের আটকের চেষ্টা চলছে।
এ ব্যাপারে জেলার সিভিল সার্জন মোখলেসুর রহমান বলেন, দু-একদিনের মধ্যেই প্রতিবেদন তৈরি হয়ে যাবে।