কুমিল্লায় নিখোঁজ ব্যবসায়ীর লাশ মিলল নোয়াখালীর পুকুরে

Looks like you've blocked notifications!
উদ্ধার হওয়া স্বর্ণালংকার ব্যবসায়ীর লাশ। ছবি : এনটিভি

কুমিল্লা থেকে অপহরণের সাতদিন পর নোয়াখালীর চাটখিল থেকে স্বর্ণালংকার ব্যবসায়ী নিতাই দেবনাথের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

আজ বুধবার সকালে চাটখিলের একটি পুকুর থেকে হাত ও পায়ে বালুর বস্তা বাঁধা অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করা হয়।

নিতাই দেবনাথের হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচজনের দেওয়া তথ্যানুযায়ী এই লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন জুয়েল, মিলন, মাইনুল ইসলাম জুয়েল, বেলাল ও লিটন।

চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহিরুল আনোয়ার ও কুমিল্লার লাকসাম ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লা আল মামুন জানান, গত ৭ ফেব্রুয়ারি বিকেলে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার নিজ বাড়ি থেকে লাকসামে তাঁর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান তিথি জুয়েলার্সে যাওয়ার জন্য বের হন নিতাই দেবনাথ। এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তিনি।

পরে এই ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। এরপর পুলিশ বিষয়টি আমলে নিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে লাকসাম থেকে জুয়েল নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে লাকসাম থেকেই মিলন ও মাইনুল ইসলাম জুয়েলকে আটক করা হয়।

চাটখিল থানার ওসি জানান, হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারীরা ছিলেন নোয়াখালীর চাটখিলে। লাকসাম থেকে আটক তিনজনের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী চাটখিল থেকে বেলাল ও লিটনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ীই আজ সকালে চাটখিলের খিলপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম দেলিয়াই গ্রামের সিরাজ মেম্বারের বাড়ির পাশে একটি পরিত্যক্ত পুকুর থেকে বালু ভর্তি বস্তাসহ নিতাই দেবনাথের লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিতাই দেবনাথের সঙ্গে গ্রেপ্তারকৃতদের টাকা পয়সা লেনদেনের ঘটনায় মনোমালিন্য দেখা দিলে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে বলে প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করছে পুলিশ।

নিহত ব্যবসায়ীর লাশ নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে হত্যার আসল কারণ জানাবে পুলিশ।