মাংস বিক্রেতাকে হত্যার দায়ে নয়জনের যাবজ্জীবন

Looks like you've blocked notifications!
কিশোরগঞ্জে মাংস বিক্রেতা হারিছ মিয়া হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ পাওয়া আসামিদের আজ মঙ্গলবার রায় ঘোষণা শেষে কারাগারে নিয়ে যায় পুলিশ। ছবি : এনটিভি

কিশোরগঞ্জে মাংস বিক্রেতা হারিছ মিয়া হত্যা মামলায় নয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন জেলার তৃতীয় অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের বিচারক মুহা. আবু তাহের এ রায় ঘোষণা করেন।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ পাশাপাশি প্রত্যেক আসামিকে দশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরো তিন মাসের সাজা দিয়েছেন বিচারক। এ ছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এক আসামিকে খালাস দিয়েছেন বিচারক।

রায় ঘোষণার সময় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত সাতজন এজলাশে উপস্থিত ছিলেন। বাকি দুই সাজাপ্রাপ্ত আসামি জামিনে গিয়ে পলাতক হয়। এছাড়া বিচার চলাকালে তিন আসামির মৃত্যু হয়।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ পাওয়া আসামিরা হচ্ছেন আবু সিদ্দীক, আবু বাক্কার, ওয়াহাব, আওয়াল, মতি মিয়া, মহরম আলী, ইসমাইল, মোস্তফা ও রুস্তম আলী। তাদের মধ্যে আবু সিদ্দীক ও রুস্তম আলী পলাতক রয়েছে। অপর আসামি ইব্রাহিম অভিযোগ থেকে খালাস পান।

রায় ঘোষণার পরপর আসামিদের কিশোরগঞ্জ কারাগারে পাঠানো হয়। মামলার বাদী ও আসামিদের সবার বাড়ি কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার গোবরিয়া আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের মাতুয়ার কান্দা গ্রামে।

মামলার বাদী মো. শহীদুল্লাহ জানান, তাঁর চাচা হারিছ মিয়া কুলিয়ারচর বাজারের একজন মাংস বিক্রেতা ছিলেন। একটি গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে তিনি কয়েকজন আসামির নামে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে ১৯৯৬ সালের ২৪ অক্টোবর সকালে আসামিরা তাদের বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় হারিছ মিয়াকে মারধর করে এবং ধারালো দা দিয়ে মাথায় কোপ দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় হারিছ মিয়াকে প্রথমে কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার আরো অবনতি হলে বাজিতপুরে ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর ওই দিন রাতেই তাঁর মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় মো. শহীদুল্লাহ ১৩ জনকে আসামি করে কুলিয়ারচর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। কিশোরগঞ্জে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মোজাম্মেল হক ২০০০ সালের ৩ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে এপিপি দিলীপ কুমার ঘোষ এবং আসামিপক্ষে গিয়াস উদ্দিন আইনজীবী হিসেবে মামলাটি পরিচালনা করেন।