অবশেষে উদ্বোধন হচ্ছে শেখ রাসেল সেতু
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর উদ্বোধন হচ্ছে কুয়াকাটাগামী সড়কে শিববাড়িয়া নদীর ওপর নির্মিত শেখ রাসেল সেতু। আজ বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই সেতুর উদ্বোধন করবেন। এ তথ্য জানিয়েছে পটুয়াখালী সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ।
শেখ রাসেল সেতু উদ্বোধন হলে উপকৃত হবেন দক্ষিণাঞ্চলের ব্যবসায়ী ও জনগণ। একই সঙ্গে কুয়াকাটা ভ্রমণে আসা পর্যটকরা সীমাহীন দুর্ভোগের হাত থেকে মুক্তি পাবেন।
সওজ নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম বলেন, ২০০৯ সালের ৬ অক্টোবর ২৪ কোটি ৮৩ লাখ ৬৪ হাজার টাকা ব্যয়ে শেখ রাসেল সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ৪০৯ মিটার দীর্ঘ সেতুর প্রস্থ ফুটপাতসহ ১০ দশমিক ২৫ মিটার। কলাপাড়া-কুয়াকাটা সড়কের ৬৬তম অংশে নদীর ওপর নয়টি স্পারের ওপর সেতুটি নির্মাণ করা হয়। প্রথমে সেতুর দক্ষিণ দিকের আলীপুর অংশে অ্যাপ্রোচ সড়ক ৩২০ মিটার ও উত্তর দিকের মহীপুর অংশে অ্যাপ্রোচ সড়ক ১৩০ মিটার থাকলেও পরে তা বাড়িয়ে আলীপুর অংশে ৪৫০ মিটার ও মহীপুর অংশে ২৯৮ মিটার করা হয়। কয়েক দফায় সেতু নির্মাণে আরো ৬০/৭০ লাখ টাকা ব্যয় বাড়ানো হয়েছে, যা এখনো অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। ৩৬ মাসে সেতুটি নির্মাণের কথা থাকলেও বিভিন্ন জটিলতায় সেতুর নির্মাণকাজ আটকে যায়। পরে জটিলতা কাটিয়ে উঠলেও সেতুর নির্মাণকাজ শুরু ছয় বছরের মাথায়।
কুয়াকাটাগামী শেখ কামাল ও শেখ জামাল সেতুর কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে। আগামী ডিসেম্বরে উদ্বোধন হতে পারে শেখ কামাল সেতু।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সেতুটি এখন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত। অ্যাপ্রোচ সড়কসহ সেতুর রং করার কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু রাতে চলাচলের জন্য সেতুতে কোনো আলোর ব্যবস্থা করা হয়নি। সেতুর দরপত্রে আলো লাগানোর কোনো ব্যবস্থা নেই।
আলীপুর মৎস্য আড়তদার সমবায় সমিতির সভাপতি আনছার উদ্দীন মোল্লা বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের উৎসবের দিন হবে ২০ আগস্ট। আর ফেরির দুর্ভোগ পোহাতে হবে না এখানকার মৎস্য ব্যবসায়ীদের।
কুয়াকাটার হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ বলেন, ঢাকা থেকে কুয়াকাটায় আসার পথে বাধা ছিল শিববাড়িয়া নদী। শেখ রাসেল সেতু উদ্বোধন হলে কুয়াকাটায় ভ্রমণে আসা পর্যটকদের আর দুর্ভোগ পোহাতে হবে না।
পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক অমিতাব সরকার বলেন, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা থেকে শেখ রাসেল সেতুর উদ্বোধন করবেন। এর পর যান চলাচলের জন্য এটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।