জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট : কাল পর্যন্ত খালেদা জিয়ার জামিন বর্ধিত

Looks like you've blocked notifications!

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আগামীকাল সোমবার পর্যন্ত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন বর্ধিত করেছেন আদালত।

আজ রোববার পুরান ঢাকার বকশিবাজারে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ ড. মো. আখতারুজ্জামান এ আদেশ দেন। 

খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া জানান, আজ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য ধার্য ছিল। বেলা ১১টা ৫ মিনিটে মামলার কার্যক্রম শুরু হয়।
 
আইনজীবী বলেন, খালেদা জিয়া যে কারাগারে আছেন সে বিষয়ে আদালতকে অবহিত করে জামিন বর্ধিত করার জন্য দুটি আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক খালেদা জিয়ার জামিন আগামীকাল পর্যন্ত বর্ধিত করেন এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রোডাকশন ওয়ারেন্টের (কারাগার থেকে আদালতে হাজির করার আদেশ) বিষয়ে শুনানির তারিখও আগামীকাল ধার্য করেন।

গত বছরের ৩০ নভেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন বিশেষ আদালতের বিচারক ডা. মো. আখতারুজ্জামান। সেই সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী চিকিৎসার জন্য লন্ডনে অবস্থান করছিলেন। পরে ৫ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। এরপর থেকে প্রত্যেক ধার্য তারিখ জামিন আবেদন করার আদেশ দেন আদালত।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০০৫ সালে কাকরাইলে সুরাইয়া খানমের কাছ থেকে ‘শহীদ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’-এর নামে ৪২ কাঠা জমি কেনা হয়। কিন্তু জমির দামের চেয়ে অতিরিক্ত এক কোটি ২৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা জমির মালিককে দেওয়া হয়েছে বলে কাগজপত্রে দেখানো হয়, যার কোনো বৈধ উৎস ট্রাস্ট দেখাতে পারেনি।

জমির মালিককে দেওয়া ওই অর্থ ছাড়াও ট্রাস্টের নামে মোট তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা অবৈধ লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।

২০১০ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের নামে তেজগাঁও থানায় দুর্নীতির অভিযোগে এ মামলা করেছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক হারুন-অর রশিদ।

ওই মামলার অন্য আসামিরা হলেন—খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামান জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে দলের জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অপর পাঁচ আসামির ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত।

রায় ঘোষণার ১১ দিন পর ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা রায়ের সার্টিফায়েড কপি হাতে পান। পরে জামিনের জন্য হাইকোর্টের আবেদন করা হয়। আজ হাইকোর্ট বলেন, রায়ের নথি উচ্চ আদালতের পৌঁছানোর পর জামিনের বিষয়ে আদেশ দেওয়া হবে।