অ্যাটর্নি জেনারেলের বিশ্বাস, বহাল থাকবে খালেদা জিয়ার সাজা

Looks like you've blocked notifications!
পুরোনো ছবি

অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, ‘আমার বিশ্বাস জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিচারিক আদালতের দেওয়া পাঁচ বছরের সাজা আপিলের রায়েও বহাল থাকবে।’  

আজ  বুধবার সুপ্রিম কোর্টের  নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন মাহবুবে আলম।

মাহবুবে আলম বলেন, ‘খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা তাঁদের ব্যর্থতার দায় আমাদের (রাষ্ট্রপক্ষ) ওপর চাপিয়ে দিচ্ছেন, এটা দুঃখজনক।’ তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার জামিন শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে আমি কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য দেইনি। আইনি যুক্তিতে কথা বলেছি।’

খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের ব্যর্থতা কী ছিল তা জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘এতিমের টাকা তাঁরা আত্মসাৎ করেছেন এ কথা শুনলেই খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা ক্ষেপে যান। আইনজীবীদের পেশাগত জায়গা থেকে তাঁরা এটা করতে পারেন না।’

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আদালতে খালেদা জিয়ার জামিন শুনানিতে তাঁরা আইনজীবীরা বক্তব্য (শুনানি) দিয়েছেন, আমরাও দিয়েছি। এখন আদালত মনে করলে খালেদা জিয়াকে জামিন দিতেও পারেন।’

গত ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বকশীবাজারে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় রায় ঘোষণা করেন। রায়ে বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর এবং সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সলিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ এবং দুই কোটি ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

রায় ঘোষণার পর থেকেই কারাগারে আছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। পুরান ঢাকার পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারকে বিশেষ কারাগার ঘোষণা দিয়ে সেখানে রাখা হয়েছে খালেদা জিয়াকে। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়।

গত ২০ ফেব্রুয়ারি বিকেলে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল দায়ের করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। ২২ ফেব্রুয়ারি আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। সেই সঙ্গে স্থগিত করেন খালেদা জিয়ার অর্থদণ্ড। একই সঙ্গে জামিন আবেদনের ওপর শুনানির জন্য ২৫ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করেন। ওই দিন শুনানি শেষে নিম্ন আদালত থেকে নথি আসার পর জামিনের বিষয়ে আদেশ দেবেন বলে জানান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের বেঞ্চ।