শিমুল বিশ্বাসকে জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদে রুল

Looks like you've blocked notifications!

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত সহকারী শিমুল বিশ্বাসকে রিমান্ডে না নিয়ে জেল গেটে জিজ্ঞাসা করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে রিমান্ডে নেওয়া যাবে না বলে জানান তাঁর আইনজীবী মাসুদ রানা।

আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি), ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত (সিএমএম), ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার, গুলশান ও বংশাল থানার ওসিকে (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এক রিটের শুনানি শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি সৈয়দ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। 

আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন মো. মাসুদ রানা। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।

আইনজীবী মাসুদ রানা সাংবাদিকদের জানান, রাজধানীর কয়েকটি থানা দায়ের করা মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত সহকারী শিমুল বিশ্বাসকে তৃতীয় দফায় পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত (সিএমএম)। তাঁর বিরুদ্ধে আরো শতাধিক মামলা রয়েছে। এসব মামলায় রিমান্ডে না নিয়ে তাঁকে যেন জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এই আবেদন করে রিট করা হয়। ওই রিট শুনানি নিয়ে আদালত এই আদেশ দেন।

শিমুল বিশ্বাসের আইনজীবী বলেন, গত ৮ ফেব্রুয়ারি পুরান ঢাকার বকশীবাজারে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালত থেকে গ্রেপ্তার করার পর প্রথমে শাহবাগ থানার মামলায় পাঁচদিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। এরপর শাহবাগ থানার আরেকটি মামলায় তাঁকে ১৫ ফেব্রুয়ারি আদালত আরো পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রমনার মামলায় ফের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করলেন আদালত।

রমনা থানার পুলিশ শিমুল বিশ্বাসকে নাশকতার মামলায় আদালতে হাজির করে ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। আইনজীবীরা রিমান্ড আবেদন বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তাঁকে এ মামলায় পাঁচদিনের রিমাণ্ড মঞ্জুর করেন। এখন তাঁর বিরুদ্ধে গুলশান ও বংশাল থানার মামলায় রিমান্ড চাওয়া হয়। আপাতত এই দুই মামলায় রিমান্ড স্থগিত।

মাসুদ রানা জানান, ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত একাধিক মামলায় শিমুল বিশ্বাসের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে প্রায় শতাধিক মামলা রয়েছে। তাই তাঁকে রিমান্ডে না নিয়ে জেল গেটে যাতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁর জন্য আবেদন করেছিলাম। আদালত শুনানি করে এই আদেশ দেন।