নড়িয়ায় উপজেলা চেয়ারম্যানের গাড়িতে হামলা
শরীয়তপুরের নড়িয়ায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের সরকারি গাড়ি ও কার্যালয়ে হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারীদের ছোড়া ইট-পাটকেলের আঘাতে উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম ইসমাইল হকসহ তিনজন আহত হয়েছেন।
আজ রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এই হামলার ঘটনা ঘটে। পুলিশ ইসমাইল হককে উদ্ধার করে তাঁর কার্যালয়ে নিয়ে আসে। উপজেলা সদরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
নড়িয়া থানা পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘ দিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্যের ছেলে ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য ডা. খালেদ শওকত আলীর সমর্থক এবং কমিটির সাবেক অর্থবিষয়ক সম্পাদক উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম ইসমাইল হকের সমর্থকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চেয়ারম্যান এ কে এম ইসমাইল হক গাড়িতে করে তাঁর কার্যালয়ের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে উপজেলা সদরের একটি ক্লিনিকের সামনে পৌঁছালে একদল সন্ত্রাসী তাঁর গাড়িতে হামলা চালায়। তারা গাড়ি ভাঙচুর করে। হামলায় ইসমাইল হক, জেলা পরিষদের সদস্য মিজানুর রহমান আলম বয়াতী ও গাড়ির চালক জাকির হোসেন হাওলাদার আহত হয়। উপজেলা কার্যালয়ে চিকিৎসক এনে আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
হামলায় আহত শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম ইসমাইল হক। ছবি : এনটিভি
এই ঘটনায় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন চেয়ারম্যান। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে উপজেলা সদরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।
নড়িয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম ইসমাইল হক বলেন, ‘স্থানীয় সাংসদের ছেলে খালেদ শওকত আলীর লোকজন রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে আমার গাড়ির ওপর হামলা করেছেন। আমার কার্যালয়েও তাঁরা হামলা করেছেন। আমিসহ আমার সঙ্গে থাকা তিনজন এই হামলায় আহত হয়েছি।’
এ ব্যাপারে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে ডা. খালেদ শওকত আলী বলেন, ‘গত শুক্রবার থেকে আমি ঢাকায় অবস্থান করছি। কে বা কারা তাঁর (এ কে এম ইসমাইল হক) গাড়িতে হামলা করেছে, তা আমি কি করে জানব? আমি ত্রাসের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না।’
নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম উদ্দিন বলেন, ‘কে বা কারা হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হামলাকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে। এই ঘটনায় এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি।’