চুরির অভিযোগ এনে উল্টো করে ঝুলিয়ে নির্যাতন!

Looks like you've blocked notifications!
নওগাঁর পত্মীতলা উপজেলার আকবরপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এভাবে চুরির অভিযোগ এনে এক যুবককে নির্যাতন করা হয়। ছবি : সংগৃহীত

দুই পা বেঁধে উল্টো করে ঝুলিয়ে লাঠি দিয়ে উপর্যুপরি নির্যাতনের একটি লোমহর্ষক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, নওগাঁর পত্মীতলা উপজেলার আকবরপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সামনে এক যুবককে বেধড়ক পেটানো হচ্ছে। 

গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় আদনান রহমান নামের এক ব্যক্তি তাঁর  ফেসবুক পেজে ভিডিওটি আপলোড করেন। এরপর তা ভাইরাল হয়। পরে অবশ্য আদনান তাঁর ভিডিও মুছে ফেলেন। 

ফেসবুক পোস্টে দাবি করা হয়, ‘শুক্রবার নওগাঁ জেলার পত্মীতলার আকবরপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে পকেটমার (চুরির অপবাদে) যুবককে পেটানো হয়। আইনের হাতে তুলে না দিয়ে এভাবে অমানুষের মতো পেটানো কখনোই যুক্তিসংগত হতে পারে না।’

নির্যাতনের শিকার ব্যক্তির নাম মো. শফিকুল ইসলাম। তাঁর বাড়ি পত্নীতলার সুরহট্টি মোল্লাপাড়ায়। তাঁকে নির্যাতনের অভিযোগে আকবরপুর ইউনিয়ন তথ্যসেবা কেন্দ্রের উদ্যোক্তা নুরুন নবীকে আটক করেছে পুলিশ।
 
ভিডিওতে দেখা যায়, প্রথমে শফিকুল ইসলামের দুই পা বাঁধেন নুরুন নবী। তারপর দুই পায়ের মাঝ দিয়ে বাঁশ ঢুকিয়ে উঁচু করে তুলে ধরা হয়। এরপর উল্টো করে ঝুলিয়ে উপর্যুপরি লাঠি দিয়ে পেটাতে থাকেন নুরুন নবী। একপর্যায়ে শফিকুল পা জড়িয়ে ধরেন। কিন্তু তারপরও পেটানো থামেননি নুরুন নবী। 

আকবরপুর ইউপির এক গ্রামপুলিশ জানান, টাকা চুরির অপরাধে ওই যুবককে হাটের মধ্য থেকে আটক করে চড়-থাপর মেরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। 

পত্নীতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহজারুল ইসলাম জানান, নির্যাতনের শিকার যুবকের নাম মো. শফিকুল ইসলাম। তাঁর বাড়ি পত্নীতলার সুরহট্টি মোল্লাপাড়ায়। শফিকুল দাবি করেন, তিনি কোনো কিছু চুরি করেননি। তাঁকে শুধু শুধু আটক করে মিথ্যা চুরির অপবাদ নির্মম নির্যাতন করা হয়েছে। 

ওসি আরো জানান, শফিকুলের ওপর নির্যাতনের আকবরপুর ইউনিয়ন তথ্যসেবা কেন্দ্রের উদ্যোক্তা নুরুন নবীকে আটক করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে আকবরপুর ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে চাননি।