অর্থমন্ত্রী পাটের প্রতি একটু বিরূপ : মির্জা আজম

Looks like you've blocked notifications!
আজ সোমবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত পাট বিষয়ক গোলটেবিল আলোচনায় বক্তব্য দেন পাট ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম। ছবি : এনটিভি

পাটের নবজাগরণের বিরুদ্ধে অর্থ এবং পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কিছু কর্মকর্তা ষড়যন্ত্র করছেন বলে অভিযোগ করেছেন পাট ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম।

আজ সোমবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত পাট বিষয়ক গোলটেবিল আলোচনায় এ অভিযোগ করেন প্রতিমন্ত্রী। ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম এবং পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয় এই গোলটেবিলের আয়োজন করে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সরকারি নানা উদ্যোগে দেশে পাটের উৎপাদন বাড়ছে। একই সঙ্গে বিজেএমসির ২৬টি পাটকল এখন সচল, যা কৃষকের পাটের সঠিক মূল্য নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। পাটের এই নবজাগরণের বিরুদ্ধে এখনো দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে বলে অভিযোগ উঠে আসে গোলটেবিলে। বিশেষ করে পাটকে প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্যে অন্তর্ভুক্ত করতে ইচ্ছাকৃত কালক্ষেপন চলছে বলে অভিযোগ করেন বক্তারা।

নিজের বক্তব্যে মির্জা আজম বলেন, ‘আমাদের এই পাটের বিরুদ্ধে যে জাতীয় ষড়যন্ত্র এবং আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র সবকিছুই কিন্তু এখনো আমরা মোকাবিলা করছি। আমার বিশ্বাস যে বিশ্বব্যাংকের কিছু প্রেতাত্মা আমাদের অর্থ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে এখনো বসে আছে। এটা আসলে মূলত আমাদের মাননীয় অর্থমন্ত্রী, তিনিই পাটের প্রতি একটু বিরূপ। পাটের কোনো কিছু গেলেই…মানসিকভাবে সে মনে হয় যে এটাকে অপছন্দ করেন। যার কারণে তাঁর কর্মকর্তারা কিন্তু এই প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে বিভিন্ন টালবাহানা করছে।’

ম্যান্ডেটরি প্যাকেজিং অ্যাক্ট বাস্তবায়নের মাধ্যমে পাটের ব্যবহার বাড়ানোর চেষ্টা চলছে বলে জানান মির্জা আজম। এ ছাড়া সরকারি পাটকলগুলো আধুনিকায়নের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিজেএমসির যে লোকসান বর্তমানে যেটা করছে সেটা কিন্তু যৌক্তিক লোকসান। আমি বলছি যে, মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে। কারণ এই জায়গায় অযৌক্তিক যে সমস্ত দুর্নীতি ছিল সেই দুর্নীতির ফাঁক ফোকরগুলো কিন্তু আমরা বন্ধ করে দিয়েছি।’

আগামীকাল মঙ্গলবার দ্বিতীয়বারের মতো নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দেশে পালিত হবে জাতীয় পাট দিবস।