কারাফটক থেকে ফিরতে হলো আমিনুলদের
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দেখতে গিয়ে কারাফটক থেকে ফিরে এসেছেন ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়া সংগঠকরা। আজ সোমবার বিএনপির ক্রীড়া সম্পাদক আমিনুল হকের নেতৃত্বে দলের চেয়ারপারসনকে দেখতে নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে যান তাঁরা।
বিএনপির ক্রীড়া সম্পাদক আমিনুলের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিএনপির সহ-ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আরিফুল হক প্রিন্স, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক শাহ নুরুল কবির শাহীন, ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনজুর হোসেন মালু, বিসিবির সাবেক পরিচালক রফিকুল ইসলাম বাবু, সাঁতার ফেডারেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আমিনুল হক দেওয়ান, অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলি ইমাম তপন, ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন বুলবুল, সাবেক জাতীয় ফুটবলার এনামুল হক, ইমতিয়াজ আহমেদ নকীব, সাবেক জাতীয় ফুটবলার মাসুদ রানা, জাতীয় দলের ফুটবলার জাহিদ হাসান এমিলি, সাবেক হকি তারকা আসাদুজ্জামান চন্দন, সাবেক জিমন্যাস্ট কামরুজ্জামানসহ আরো অনেকে।
এ সময় তাঁদেরকে কারাফটক থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। কারাফটক থেকে ফিরে আমিনুল হক বলেন ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং একটি বড় রাজনৈতিক দলের প্রধানের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। তাঁকে চিকিৎসা করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। এটা কেমন আচরণ?।’
আমিনুল আরো বলেন, ‘খালেদা জিয়া বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষের প্রাণের নেত্রী, আমাদের নেত্রী, আমাদের মা। তাঁকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। বিচারের নামে প্রহসন করা হচ্ছে। এভাবে একটা স্বাধীনদেশ চলতে পারে না।’
গত ৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে পুরান ঢাকার বকশীবাজারে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় রায় ঘোষণা করেন। রায়ে বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর এবং সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সলিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দীন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ এবং দুই কোটি ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
সাজা ঘোষণার পর খালেদা জিয়াকে নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে। রায়ে আসামি তারেক রহমান, শরফুদ্দীন আহমেদ ও মমিনুর রহমানকে পলাতক দেখানো হয়েছে।