উল্টো করে ঝুলিয়ে নির্যাতন, দুই আসামির জবানবন্দি

Looks like you've blocked notifications!
নওগাঁর পত্মীতলা উপজেলার আকবরপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এভাবে চুরির অভিযোগ এনে এক যুবককে নির্যাতন করা হয়। ছবি : সংগৃহীত

নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলায় চোর সন্দেহে এক যুবককে দুই পা বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া দুই আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

আজ সোমবার বিকেলে দুই আসামি নওগাঁর ৪ নম্বর আমলী আদালতের বিচারিক হাকিম মো. সিরাজুল ইসলামের কাছে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। নওগাঁ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. ফিরোজ কবির এই তথ্য জানিয়েছেন।

গ্রেপ্তার হওয়া দুই আসামি হলেন নওগাঁর পত্মীতলা উপজেলার আকবারপুর ইউনিয়ন তথ্যসেবা কেন্দ্রের উদ্যেক্তা নুরুন নবী ও গ্রামপুলিশ মোজাফ্ফর হোসেন। রোববার রাতে তাঁদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

দুই আসামিকে আজ আদালতে পাঠানো হয়। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার পর বিচারক তাঁদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে পুলিশের কাছে দেওয়া প্রাথমিক স্বীকারোক্তিতে আকবরপুর ইউনিয়ন পরিষদের গ্রামপুলিশ মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, তিনি শফিকুর ইসলামকে বাঁশের সঙ্গে দুই পা বাঁধেন। এরপর বাঁশে উল্টো করে ঝুলিয়ে লাঠি দিয়ে উপর্যুপরি মারপিট করে নুরুন  নবী। আজ সোমবার সকালে পত্নীতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাজহারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

ওসি জানান, রোববার বিকেলে উদ্ধার করা হলে নির্যাতিত শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে নুরুন নবী ও মোজাফ্ফর হোসেনসহ চারজনকে আসামি করে নির্যাতনের অভিযোগে থানায় একটি মামলা করেন। এর পর পরই চিকিৎসার জন্য শফিকুল ইসলামকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সেখান চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।

গত শুক্রবার পত্নীতলার মধইল হাটে পকেটমার সন্দেহে শফিকুলকে আটক করেন স্থানীয় কয়েকজন। পরে তাঁকে আকবরপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে নিয়ে গিয়ে দুই পা রশি দিয়ে বেঁধে দুই পায়ের মাঝ দিয়ে বাঁশ ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। এরপর উল্টো করে ঝুলিয়ে দুই ব্যক্তি বাঁশের দুই মাথা ধরে উঁচু করে ধরে রেখে নির্যাতন চালান নুরুন নবী, মোজাফ্ফর হোসেনসহ তাঁদের সহযোগীরা।

শুক্রবার রাতে ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে রোববার সকালে ঘটনা খতিয়ে দেখতে মাঠে নামে পুলিশ। ওসি মাজহারুল ইসলাম জানান, শফিকুল ইসলামকে নির্যাতন করার সঙ্গে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত আছে।