‘প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ, ত্বকী হত্যার বিচার করুন’

Looks like you've blocked notifications!
ত্বকী স্মরণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী। ছবি : এনটিভি

‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করব সাত খুনের বিচার যেভাবে হচ্ছে, অন্যান্য বিচারগুলো করে বাংলাদেশের মধ্যে আপনি যেভাবে প্রশংসিত হয়েছেন আপনি ঠিক সেভাবে আমাদের সন্তান ত্বকী হত্যার বিচার করবেন।’

আজ বুধবার নারায়ণগঞ্জ চারুকলা ইনস্টিটিউট চত্বরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। নারায়ণগঞ্জের মেধাবী ছাত্র তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী স্মরণে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট। এতে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষাবিদ হায়াৎ মাহমুদ।  

ত্বকী হত্যাকাণ্ডের পাঁচ বছর পূর্তি ছিল গতকাল মঙ্গলবার। ২০১৩ সালের ৬ মার্চ নারায়ণগঞ্জে নিজ বাসার সামনে থেকে নিখোঁজ হয় ত্বকী। ৮ মার্চ চারারগোপ এলাকার খাল থেকে ত্বকীর লাশ উদ্ধার করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে মেয়র আইভী বলেন, ‘ত্বকী হত্যার বিচার আপনি করবেন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আপনি অবশ্যই করবেন। সময়, সুযোগ মতো, আমরা অপেক্ষায় রইলাম।’

মেয়র আইভী বলেন, ‘ত্বকী শুধু রফিউল রাব্বী বা রওনক জাহানের সন্তান নয়, ত্বকী এখন আমাদের সবার সন্তান এবং সেই সন্তানের প্রতিবাদ আমরা ওই পর্যন্ত করে যাব, যত দিন পর্যন্ত আমরা ন্যায় বিচার না পাব।’

আইভী আরো বলেন, ‘আমরা সব হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই নারায়ণগঞ্জের, শুধু ত্বকী নয়। ত্বকী, চঞ্চল, মিঠুসহ যতগুলো হত্যাকাণ্ড এই ওসমান পরিবার দ্বারা সংঘটিত হয়েছে, তার বিচার অবশ্যই চাই। বিচার অবশ্যই একদিন হবে। তারা এতই বেশি শক্তিশালী, যখন ক্ষমতায় থাকে, প্রশাসনকে ব্যবহার করে শুধু হত্যাকাণ্ড নয়, এমন কাজ নেই যা তারা ঘটায় নাই। ত্বকীকে তো হত্যা করলই, করার পরে তারা আরো অনেক কিছুই করেছে। ত্বকীর বাড়ির সামনে মঞ্চ করে তার বাপ-মাসহ, আমরা যারা জড়িত ছিলাম তাদেরও কম হেনস্তা করা হয়নি।’

ত্বকীসহ নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন সময়ের হত্যাকাণ্ডের জন্য ওসমান পরিবারকে দায়ী মনে করেন মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী। তিনি বলেন, ‘ত্বকী তার নিজের কারণে খুন হয়নি। ত্বকীকে হত্যা করা হয়েছিল তার বাপ-মাকে শাস্তি দেওয়ায় জন্য। শুধু তার বাপ-মাকে শাস্তি দেওয়ার জন্য নয়, সারা নারায়ণগঞ্জবাসীকে স্তব্ধ করে রাখার জন্য যে পদ্ধতিগুলো তারা করে আসছিল, তারই একটি ত্বকী।’

মেয়র আইভী বলেন, ‘আজকে এখানে পাঁচ বছর হতে চলল। ২০১৩ সালে ত্বকীকে হত্যা করা হলো। তারও আগে যদি আমরা নারায়ণগঞ্জের ইতিহাস দেখি, তাহলে কিন্তু হত্যাকাণ্ড আরো অসংখ্য হয়েছে। কিন্তু এভাবে কেউ আন্দোলন চালিয়ে যেতে পারেনি বা ত্বকী যে এভাবে আন্দোলনের একটি নাম হয়ে দাঁড়াবে বিশ্ব বাঙালির কাছে এটা হয়তো তারা চিন্তাও করেনি।’