নওগাঁয় কলেজছাত্র শ্যামল হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

Looks like you've blocked notifications!
নওগাঁ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র শ্যামল চন্দ্র বর্মণকে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে আজ রোববার মানববন্ধন করা হয়। ছবি : এনটিভি

নওগাঁ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র শ্যামল চন্দ্র বর্মণকে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় নওগাঁ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে কলেজের সামনে শহরের দুবলহাটি সড়কে কলেজের সামনে এ মানববন্ধন হয়। 

আজ রোববার ছিল শ্যামল চন্দ্রের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। বান্ধবীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় ২০১৭ সালের ১১ মার্চ নওগাঁ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের কম্পিউটার বিভাগের ষষ্ঠ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী শ্যামল চন্দ্র শহরের আরজি-নওগাঁর ফিশারিজ গেটের সামনে খুন হন। নিহত শ্যামল নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার মাটিন্দর ইউনিয়নের বাসখোলা গ্রামের গোপাল চন্দ্রের ছেলে।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, শ্যামলের হত্যাকারীরা জামিনে মুক্তি পেয়ে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য তাঁর পরিবারকে হুমকি-ধমকি দিয়ে যাচ্ছে। হত্যাকারীরা বিভিন্ন মহলের আশ্রয়-প্রশ্রয় নিয়ে অবাধে চলাফেরা করছে। শ্যামলকে হত্যার ঘটনায় পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের যে কয়জন শিক্ষার্থীদের নাম এসেছে তাদের বহিষ্কারের  জন্য সাধারণ শিক্ষার্থীরা কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার দাবি জানানোর পরও তাদের বহিষ্কার করা হয়নি। এখনো তারা কলেজ ক্যাম্পাসে ত্রাস সৃষ্টি করে যাচ্ছে। দ্রুত শ্যামল হত্যা মামলার বিচার সম্পন্ন করে আসামিদের দৃষ্টান্তুমূলক শাস্তি দেওয়ার দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। 

পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী তারেক রহমানের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাব্বির রহমান, সাধারণ সম্পাদক আমানুজ্জামান সিউল, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী শাহিনুর ইসলাম, জিহাদ রহমান, শহিদুল ইসলাম প্রমুখ। 

মানববন্ধনের আগে সকালে শ্যামলের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কলেজ ক্যাম্পাসে শহীদ মিনারের বেদীতে শ্যামলের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান কলেজের শিক্ষার্থীরা। শ্যামল হত্যা মামলার তদন্ত শেষে গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নওগাঁ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন। 

অভিযুক্ত আসামিরা হলেন আতোয়ার হোসেন (২০), আরমান হোসেন রোমন (১৯), রাশেদ (২২), রনি আহম্মেদ (১৯), ফায়সাল হোসেন মিজান (২০), মমিনুল ইসলাম (২০), সজীব চন্দ্র (২০), পাইলট হোসেন সিজার (২২), পুষ্প চন্দ্র রায় (২২), আসিক (২৫) ও মাসুদ (২৬)।

নওগাঁ পলেটেকনিক ইনস্টিটিউটের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র শ্যামল চন্দ্র বর্মণকে শহরের আরজি নওগাঁ ফিশারিজ অফিস এলাকায় উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে কয়েকজন যুবক।

এতে তাঁর পেট ও কোমরে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে নিলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিতে বলা হয়। পথে মৃত্যু হয় শ্যামলের।